লগইন করুন
আমরা দেখছি যে, পবিত্র বাইবেলে পশু কোরবানি করার মূল উদ্দেশ্য পোড়ানো মাংস বা চর্বির খোশবু দ্বারা ঈশ্বরকে খুশি করা এবং রক্ত ছিটিয়ে নিরাপত্তা লাভ করা। আর এজন্য বাইবেলের বিধান বা নিয়ম ‘রক্তময়’ বা ‘রক্তাক্ত’। বাইবেলের বর্ণনায় মূসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে যেয়ে আল্লাহর নিকট থেকে ‘বিধান’, ‘নিয়ম’ বা ‘ব্যবস্থা’ গ্রহণ করেন তখন রক্তের মাধ্যমে তা গ্রহণ করেন: ‘‘পরের দিন মূসা খুব সকালে উঠে পাহাড়ের নীচে একটা কোরবানগাহ তৈরি করলেন এবং ইসরাইলীয় বারো গোষ্ঠীর কথা মনে করে বারোটা পাথরের থাম তৈরী করলেন। তারপর তিনি কয়েকজন ইসরাইলীয় যুবককে পাঠিয়ে দিলেন আর তারা গিয়ে মাবুদের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো পোড়ানো- কোরবানী (olot: burnt offerings কেরি: হোমার্থক বলি) দিল এবং যোগাযোগ- কোরবানী (shelamim: peace offerings কেরি: মঙ্গলার্থক বলি) হিসাবে অনেক ষাঁড়ও কোরবানী দিল। মূসা কোরবানীর রক্তের অর্ধেকটা নিয়ে কয়েকটা পাত্রে রাখলেন এবং বাকী অর্ধেক তিনি কোরবানগাহের উপরে ছিটিয়ে দিলেন। তারপর তিনি ব্যবস্থা লেখা কিতাবটা (the Book of the Covenant: নিয়মপুস্তকটা) নিয়ে লোকদের তেলাওয়াত করে শোনালেন। এর জবাবে লোকেরা বলল, আমরা বাধ্য থাকব এবং মাবুদ যা যা বলেছেন তা সবই পালন করব। এই কথা শুনে মূসা রক্ত নিয়ে লোকদের উপর ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এই সেই ব্যবস্থার রক্ত (the blood of the covenant/testament: কি. মো.-১৩: এই সেই নিয়মের রক্ত), যে ব্যবস্থা মাবুদ তোমাদের জন্য এই সব কথা অনুসারে স্থির করেছেন।’’ (হিজরত ২৪/৪-৮; ইবরানী ৯/২০)
এভাবে আমরা দেখছি যে, বাইবেলীয় ঈশ্বরের নিয়ম বা ব্যবস্থা রক্তময় বা রক্তাক্ত! নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে একই কথা বলেছেন যীশু: ‘‘পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে শুকরিয়াপূর্বক তাঁদেরকে দিয়ে বললেন, তোমরা সকলে এ থেকে পান কর; কারণ এ আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য, গুনাহ মাফের জন্য ঢেলে দেওয়া হয়।’’ (For this is my blood of the new testament, which is shed for many for the remission of sins) (মথি ২৬/২৭-২৮; মার্ক ১৪/২৩-২৪)।
প্রশ্ন হল, ঈশ্বর কি এতই রক্তপ্রিয় বা রক্তপিপাসু যে রক্ত ছাড়া বিধান বা ব্যবস্থা কায়েম হয় না?!