লগইন করুন
কোথাও নিহত লাশ পাওয়া গেলে হত্যার অপরাধ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য একটা বকনা বাছুরের ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করতে হবে! এভাবে সকলে অপরাধমুক্ত হবে:
‘‘কোন মাঠে হয়তো কাউকে খুন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যেতে পারে, কিন্তু কে তাকে খুন করেছে তা জানা নেই। এই অবস্থায় তোমাদের বৃদ্ধ নেতারা ও বিচারকেরা বাইরে গিয়ে সেই লাশ থেকে কাছে গ্রাম বা শহরগুলো কত দূরে তা মেপে দেখবে। লাশ থেকে যে জায়গাটা সবচেয়ে কাছে পড়বে সেখানকার বৃদ্ধ নেতাদের এমন একটা বক্না বাছুর নিতে হবে যাকে কখনও কাজে লাগানো হয় নি এবং যার কাঁধে কখনও জোয়াল দেওয়া হয় নি। যেখানে কখনও চাষ করা কিংবা বীজ বোনা হয় নি এবং যেখানে একটা নদী বয়ে যাচ্ছে, বক্না বাছুরটাকে তেমন একটা উপত্যকায় তাদের নিয়ে যেতে হবে। সেই উপত্যকায় তারা বক্না বাছুরটার ঘাড় ভেংগে দেবে। তারপর ইমামেরা, অর্থাৎ লেবি-গোষ্ঠীর লোকেরা সামনে এগিয়ে যাবে... তারপর সবচেয়ে কাছের গ্রাম বা শহরের বৃদ্ধ নেতারা সেই ঘাড় ভাংগা বাছুরটার উপর তাদের হাত ধুয়ে ফেলবে। এর পর তারা বলবে, ‘এই রক্ত-পাত আমরা নিজেরা করি নি এবং হতেও দেখি নি। হে মাবুদ, তোমার মুক্ত করা বনি-ইসরাইলদের তুমি মাফ কর। এই লোকটির রক্তপাতের জন্য তুমি তোমার বান্দাদের দায়ী কোরো না।’ এতে সেই রক্তপাতের দোষ মাফ করা হবে। এভাবে তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে নির্দোষ লোকের রক্তপাতের দোষ মুছে ফেলতে পারবে, কারণ তখন মাবুদের চোখে যা ভাল তা-ই করা হবে। (দ্বিতীয় বিবরণ ২১/১-৯)
মাবুদের চোখে কিভাবে বিষয়টা ভাল হল তা আমরা বুঝতে পারি না! অকারণে একট প্রাণি ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা না করে কি এরূপ শপথ করা যেত না? এ পদ্ধতি কি এরূপ হত্যাকাণ্ড আরো উস্কে দেয় না? বর্তমানে কোনো খ্রিষ্টান সরকার কী কোথাও নিহত লাশ পেলে এভাবেই বিচার শেষ করে দেবেন? কোনো খ্রিষ্টানের আপনজন যদি নিহত হন, আর খুনি অজ্ঞাত হয় তবে তিনি কি এরূপ বিচারে সন্তুষ্ট হবেন? যদি অপরাধীকে ধরা নাই যায় সে জন্য কি একটা নিরপরাধ প্রাণি হত্যা করতে হবে?