লগইন করুন
বাইবেলীয় ১০ আজ্ঞার অন্যতম, শনিবারে সম্পূর্ণ কর্ম বিরতি। ঈশ্বর ৬ দিন ধরে বিশ্ব সৃষ্টি করে শনিবারে বিশ্রা্ম করেছিলেন সেহেতু এ দিনে পরিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন করতেই হবে। কেউ যদি শনিবারে সামান্য কোনো কর্ম করে, এমনকি চুলা জ্বালায় বা খড়ি কুড়ায় তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে। আজ্ঞাটা চতুর্থ হলেও গুরুত্বে সর্বোচ্চ বলা যায় (যাত্রাপুস্তক ২০/১-১১)
ঈশ্বর বলেন: ‘‘তোমরা আমার প্রত্যেকটা বিশ্রামবার পালন করবে। ... যদি কেউ এই দিনটা পালন না করে তবে তাকে মেরে ফেলতে হবে; যদি কেউ এই দিনে কোন কাজ করে তবে তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে। তোমরা সপ্তার ছয় দিন কাজ করবে কিন্তু সপ্তম দিনটা হবে বিশ্রামের দিন, আর মাবুদের উদ্দেশ্যে সেটা একটা পবিত্র দিন। যদি কেউ এই দিনে কাজ করে তবে তাকে হত্যা করতে হবে।’’ (হিজরত/ যাত্রাপুস্তক ৩১/১২-১৫)
পাঠক দেখছেন যে কী ভয়ঙ্কর গুরুত্ব দিয়ে ঈশ্বর একই স্থানে হত্যার আদেশটা বার বার বলছেন। আর এ ভয়াবহ গুরুত্বের কারণেই ঈশ্বর একই নির্দেশ আবারো কয়েক পৃষ্ঠা পরে পুনরায় প্রদান করে বলছেন: ‘‘সপ্তার ছয় দিন তোমরা কাজ করবে কিন্তু সপ্তম দিনটা হবে তোমাদের একটা পবিত্র দিন, মাবুদের উদ্দেশে বিশ্রামের দিন। সেই দিনে যে কাজ করবে তাকে হত্যা করতে হবে। বিশ্রামবারে তোমাদের কোনো ঘরে যেন আগুন জ্বালানো না হয়।’’ (হিজরত ৩৫/২-৩)
বাইবেল বলছে: ‘‘বনি-ইসরাইলরা মরুভূমিতে থাকবার সময় একজন লোককে বিশ্রামবারে কাঠ কুড়াতে দেখা গেল। যারা তাকে কাঠ কুড়াতে দেখল তারা তাকে মূসা, হারুন এবং সমস্ত বনি-ইসরাইলদের কাছে নিয়ে গেল। ... তখন মাবূদ মূসাকে বললেন, ‘লোকটাকে হত্যা করতে হবে। ছাউনির বাইরে নিয়ে গিয়ে সমস্ত বনি-ইসরাইল তাকে পাথর মারবে।’ কাজেই বনি-ইসরাইল মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম মত তাকে ছাউনির বাইরে নিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল।’’ (শুমারী/ গণনাপুস্তক ১৫/৩২-৩৫)