লগইন করুন
আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, যীশুকে ভালবাসতে হলে পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাইবোন সকলকেই ঘৃণা ও পরিত্যাগ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পল বলছেন, যুবতী মেয়ে বিধবা হলে আবার বিবাহ করতে চাওয়া খ্রিষ্ট বিরোধী। খ্রিষ্টভক্তি নষ্ট হওয়ার কারণেই সে বিবাহে আগ্রহী হয়। এজন্য কোনো খ্রিষ্টভক্ত যুবতী বিধবা যদি বিবাহ করতে চায় তবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায় এবং অভিশপ্ত ও শাস্তিযোগ্য হয়।
১ তীমথিয় ৫/১১-১২ ইংরেজি (KJV) নিম্নরূপ: “But the younger widows refuse: for when they have begun to wax wanton against Christ, they will marry; Having damnation, because they have cast off their first faith” অর্থাৎ: ‘‘যুবতী বিধবাদের প্রত্যাখ্যান করবে; কারণ যখনই তাদের মধ্যে খ্রিষ্টের বিরুদ্ধে অসৎচরিত্রতা বা উচ্ছৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখনই তারা বিবাহ করতে চায়। ফলে তারা অভিশাপ লাভ করে; কারণ তারা তাদের প্রথম বিশ্বাস পরিত্যাগ করেছে।’’
কেরি: ‘‘যুবতী বিধবাদিগকে অস্বীকার কর, কেননা খ্রিষ্টের বিরুদ্ধে বিলাসিনী হইলে তাহারা বিবাহ করিতে চায়; তাহারা প্রথম বিশ্বাস অগ্রাহ্য করাতে দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত হয়।’’ জুবিলী বাইবেল: ‘‘কোন যুবতী বিধবাকে তুমি কিন্তু তালিকাভুক্ত করবে না, কারণ খ্রীস্টের অযোগ্য কামনায় আকর্ষিতা হওয়ামাত্র তারা আবার বিবাহ করতে চায়, আর এমনটা ক’রে তারা প্রথম বিশ্বাস অবহেলা করেছে বলে নিজেদের উপর বিচার ডেকে আনে।’’ কি. মো.-১৩: ‘‘যুবতী বিধবাদেরকে বিধবার তালিকায় গণনা করো না, কেননা তারা ইন্দ্রিয়তাড়িত হয়ে মসীহের বিরুদ্ধচারী হলে তারা বিয়ে করতে চায়; এতে তারা প্রথম ঈমান অগ্রাহ্য করেছে বলে নিজেদের উপর শাস্তি ডেকে আনে।’’
উপরের এ বক্তব্য থেকে আমরা নিম্নের বিষয়গুলো জানছি:
(ক) বিবাহ করার প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক বাসনাটা খ্রিষ্টবিরোধী একটা কর্ম।
(খ) শুধু খ্রিষ্টবিরোধী ও খ্রিষ্টের অযোগ্য মানুষই এরূপ বাসনা করতে পারে।
(গ) এরূপ বাসনার কারণে উক্ত ব্যক্তির ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।
(ঘ) যীশুর বিষয়ে সকল বিশ্বাস থাকার পরেও এরূপ বাসনা পোষণ বা কার্যকর করার কারণে উক্ত নারী অভিশাপ ও শাস্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
পাঠক, আপনি কি এ শিক্ষাকে মানবিক ও স্বাভাবিক মনে করেন?