লগইন করুন
আমরা দেখেছি যে, যীশুর সাহাবীরা ও ফিলিস্তিনের হিব্রু-খ্রিষ্টানদের সাথে সাধু পলের কঠিন মতভেদ ছিল। পল যে ইঞ্জিল প্রচার করতেন প্রেরিতরা তার বিপরীত ইঞ্জিল প্রচার করতেন। সাধু পলের ইঞ্জিলেরর মর্মবাণী: বিশ্বাস ও ভক্তিতে মুক্তি। পক্ষান্তরে প্রেরিতদের ইঞ্জিলের মর্মবাণী: বিশ্বাসের সাথে শরীয়ত পালন ও কর্ম ছাড়া বিশ্বাস মূল্যহীন। পল তার বিরোধীদের অনেক অভিশাপ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পল লেখেছেন: ‘‘কিন্তু আমরা তোমাদের কাছে যে ইঞ্জিল তাবলিগ করেছি, তা ছাড়া অন্য কোন রকম ইঞ্জিল যদি কেউ তবলিগ করে- তা আমরাই করি, কিংবা বেহেশত থেকে আগত কোনো ফেরেশতাই করুক- তবে সে বদদোয়াগ্রস্ত (অভিশপ্ত) হোক। আমরা আগে যেমন বলেছি, এখনও আবার আমি বলছি, তোমরা যা গ্রহণ করেছ তা ছাড়া আর কোন ইঞ্জিল যদি কেউ তোমাদের কাছে তবলিগ করে, তবে সে বদদোয়াগ্রস্ত (অভিশপ্ত) হোক।’’ (গালাতীয় ১/৮-৯, মো.-১৩)
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সাধু পলের সময়ে কোনো কোনো ফেরেশতাও তাঁর ইঞ্জিলের বিপরীত ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন। নইলে সাধু পল তার অভিশাপের মধ্যে ফেরেশতার উল্লেখ করলেন কেন? একই অভিশাপের বার বার পুনরুক্তি থেকে অভিশাপের কাঠিন্য ও বিরোধিতার প্রচণ্ডতা বুঝা যায়।
এখানে লক্ষণীয় যে, মূল গ্রিক এবং ইংরেজি সকল ভার্শনে (gospel) বা ইঞ্জিল শব্দটা ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলা অনুবাদে ইঞ্জিল, সুসমাচার, সুসংবাদ ইত্যাদি লেখা হয়েছে। এখানে কিতাবুল মোকাদ্দস-২০১৩ সংস্করণের অনুবাদ লেখা হয়েছে।