লগইন করুন
আমরা দেখেছি যে, যীশুর চার্চের ভিত্তিপ্রস্তর ও প্রধান সাহাবী পিতর বেদনার্ত যীশুকে রেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লেন। শুধু তাই নয়; উপরন্তু যীশুর গ্রেফতারের পর তিনি বারবার কসম করে, গালি দিয়ে, যীশুর সাথে তাঁর সম্পর্ক অস্বীকার করেন। যখন গ্রেফতারকারীরা যীশুকে নিয়ে মহাযাজকের কাছে যায় তখন পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছে পিছে মহাযাজকের প্রাঙ্গন পর্যন্ত গমন করেন এবং বাইরে প্রাঙ্গনে বসে থাকেন। তখন এক জন দাসী তাঁর নিকটে এসে বলেন, তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে। কিন্তু তিনি সকলের সাক্ষাতে যীশুর সাথে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। এরপর অন্য এক দাসী তাঁকে দেখে সেই স্থানের লোকজনকে বলে, এই ব্যক্তি সেই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল। তিনি আবার অস্বীকার করেন এবং শপথ করে বলেন যে, যীশুকে তিনি চিনেনই না। কিছুক্ষণ পরে যারা নিকটে দাঁড়িয়েছিল, তারা এসে পিতরকে বলে, সত্যই তুমিও তাহাদের এক জন। তখন পিতর অভিশাপ দিতে শুরু করেন (যীশুকে?) এবং শপথ করে বলতে থাকেন যে, তিনি তাঁকে চিনেনই না। (মথি ২৬/৬৯-৭৫; মার্ক ১৪/৬৬-৭২; লূক ২২/৫৫-৬২; যোহন ১৮/১৬-১৮ ও ২৫-২৭)।
এ বর্ণনা থেকে খ্রিষ্টীয় চার্চের ভিত্তিপ্রস্তর এ প্রধান প্রেরিতের বিষয়ে আমরা কী ধারণা লাভ করছি? বিশেষত যীশু পিতরকে বলেছিলেন যে, তাঁকে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যা করা হবে এবং তিন দিন পর তিনি উঠবেন। পিতর তা অনুধাবন করে অনুযোগও করেছিলেন। কী বলবেন এ আচরণকে? অবিশ্বাস? নির্বুদ্ধিতা? কাপুরুষতা?