লগইন করুন
প্রেরিতদের কার্যবিবরণ ৪র্থ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইহুদি মহাযাজক, প্রাচীনবর্গ, অধ্যাপক ও অধ্যক্ষগণ সাধারণ মানুষদের যীশুর ধর্মে দীক্ষা নিতে দেখে তাদেরকে ভয় দেখান। তখন যীশুর প্রেরিতগণ, শিষ্যগণ এবং অন্যান্য নতুন দীক্ষিত সকলে সমবেত হয়ে প্রার্থনা করেন। এ প্রার্থনার কয়েকটা বাক্য KJV-র ভাষ্যে নিম্নরূপ: 24 Lord, thou art God, which hast made heaven, and earth, and the sea, and all that in them is: Who by the mouth of thy servant David hast said ... 27 For of a truth against thy holy child Jesus, whom thou hast anointed ...29 And now, Lord, behold their threatenings: and grant unto thy servants, that with all boldness they may speak thy word, 30 By stretching forth thine hand to heal; and that signs and wonders may be done by the name of thy holy child Jesus.”
কেরির অনুকরণে বাংলা: ‘‘(২৪) হে প্রভু, তুমিই ঈশ্বর, তুমি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তের নির্মাণকর্তা, তুমি তোমার দাস (বান্দা) দাউদের মুখ দিয়া এই কথা বলিয়াছিলে ... (২৭) কেননা সত্যই তোমার পবিত্র পুত্র যীশু, যাঁহাকে তুমি অভিষিক্ত করিয়াছ...। (২৯) আর এখন, হে প্রভু, উহাদের ভয় প্রদর্শনের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; এবং তোমার এই দাসদিগকে সম্পূর্ণ সাহসের সহিত তোমার বাক্য বলিবার ক্ষমতা দেও, (৩০) আরোগ্য-দানার্থে তোমার হস্ত বিস্তার কর; আর তোমার পবিত্র পুত্র যীশুর নামে যেন চিহ্ন-কার্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধিত হয়।’’
বিগত প্রায় দু’ হাজার বছর যাবৎ এ কথাগুলো পবিত্র পুস্তকের বক্তব্য হিসেবে গণ্য হচ্ছিল। কিন্তু রিভাইজড স্টান্ডার্ড ভার্শনে যীশুর ক্ষেত্রে ‘পুত্র’ শব্দ বাদ দিয়ে দাস ব্যবহার করা হয়েছে। এ শ্লোকগুলোতে RSV এর ভাষ্য নিম্নরূপ:
“24 Who by the mouth of our father David, thy servant ...... 27 ... against thy holy servant Jesus, whom thou didst anoint ... 29 ... grant to thy servants, ... 30 ... by the name of thy holy servant Jesus.”
কেরির অনুবাদ: ‘‘(২৪) ... তুমি তোমার দাস (বান্দা, গোলাম) দায়ূদের মুখ দিয়া এই কথা বলিয়াছিলে ... (২৭) কেননা সত্যই তোমার পবিত্র দাস (বান্দা, গোলাম) যীশু, যাঁহাকে তুমি অভিষিক্ত করিয়াছ...। (২৯) ... তোমার এই দাসদিগকে সম্পূর্ণ সাহসের সহিত তোমার বাক্য বলিবার ক্ষমতা দেও, (৩০) ... আর তোমার পবিত্র দাস (বান্দা, গোলাম) যীশুর নামে যেন চিহ্ন-কার্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধিত হয়।’’
আমরা দেখছি যে, উপরের বক্তব্যে দাউদকে, প্রার্থনাকারী সকল মানুষকে এবং যীশুকে একইভাবে ঈশ্বরের দাস বা আল্লাহর বান্দা বলা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী লিপিকাররা বিশেষভাবে যীশুর ক্ষেত্রে ‘দাস’ বিশেষণ পরিবর্তন করে ‘পুত্র’ ব্যবহার করেন এবং এ বিকৃতিকেই মূল সত্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন পরবর্তীরা।