লগইন করুন
যীশু একজন জন্মান্ধকে সুস্থ করেন। লোকটা যীশুর প্রতি ভক্তি প্রকাশ করায় ইহুদি নেতারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দেন। তখন যীশু তাকে তার বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন করেন (যোহন ৯/৩৫)। ৫ম শতাব্দীর পূর্বের পাণ্ডুলিপিগুলোর ভাষ্য অনুসারে যীশু তাকে প্রশ্ন করেন, তুমি কি ‘মনুষ্যপুত্রে’ বিশ্বাস করেছ। কিন্তু ৫ম শতাব্দীর পরের পাণ্ডুলিপিগুলোর ভাষ্য অনুসারে যীশু তাকে প্রশ্ন করেন তুমি কি ‘ঈশ্বরের পুত্রে’ বিশ্বাস করেছ। কিং জেমস ভার্শন এখানে ‘the Son of God’: ‘ঈশ্বরের পুত্র’ লেখেছে। রিভাইজড ভার্শন ‘the Son of man’: ‘মানুষের পুত্র’ লেখেছে।
কেরি বাইবেলে মূল পাঠে ‘ঈশ্বরের পুত্র’ লেখে টীকায় ‘‘বা মনুষ্যপুত্র’’ লেখা হয়েছে। পরবর্তী বাইবেলগুলোতে মানুষের পুত্র লেখা হয়েছে, তবে বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। কেরি: ‘‘তুমি কি ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাস করিতেছ?’’। বা.-২০০০: ‘‘তুমি কি মনুষ্যপুত্রের উপর বিশ্বাস কর?’’। কি. মো.-২০০৬: ‘‘তুমি কি ইবনে-আদমের উপর ঈমান এনেছ?’’। কি. মো.-২০১৩: ‘‘তুমি কি ইবনুল ইনসানের উপর ঈমান এনেছ?’’। জুবিলী: ‘‘মানবপুত্রের প্রতি তোমার কি বিশ্বাস আছে?’’
এ প্রসঙ্গে ‘রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিকৃতি’ প্রবন্ধের বক্তব্য নিম্নরূপ:
“In yet another example, in all versions of John (9:35) transcribed after the 5th century one can read the following passage: "Jesus heard that they had cast him out; and when he had found him, he said unto him, Dost thou believe on the Son of God?". But if one compares this version to papyri and codices transcribed before the 5th century, one finds this rendering: "Jesus heard that they had cast him out, and having found him he said, Do you believe in the Son of man?" Again, the point of these examples is to illustrate the fact that someone, at some point, made significant changes to the Gospel of John. Perhaps in some cases it was an unintended error .... . But that the phrase "Son of man" could have been replaced by "Son of God" by accident -- and would then be perpetuated unchallenged -- seems ludicrous, given the significance of the wording.”
‘‘আরেকটা উদাহরণ যোহনের ৯ অধ্যায়ের ৩৫ শ্লোক। ৫ম শতাব্দীর পরে লেখা পাণ্ডুলিপিগুলোতে এ শ্লোকটা নিম্নরূপ: ‘‘যীশু শুনিলেন যে, তাহারা তাহাকে বাহির করিয়া দিয়াছে; আর তিনি তাহার দেখা পাইয়া বলিলেন: তুমি কি ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাস করিতেছ?’’ কিন্তু যদি কেউ এ ভাষ্যকে ৫ম শতাব্দীর পূর্বে লেখা পাণ্ডুলিপিগুলোর সাথে তুলনা করেন তবে দেখবেন যে, ৫ম শতাব্দীর পূর্বের পাণ্ডুলিপিগুলোতে এ শ্লোকটা নিম্নরূপ: ‘‘যীশু শুনিলেন যে, তাহারা তাহাকে বাহির করিয়া দিয়াছে; আর তিনি তাহার দেখা পাইয়া বলিলেন: তুমি কি মানুষের পুত্রে বিশ্বাস করিতেছ?’’ এ সকল উদাহরণ পুনরায় একটা বাস্তবতা ব্যাখ্যা করছে, তা হল, কেউ কেউ কখনো কখনো যোহনের ইঞ্জিলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছেন। সম্ভবত কখনো কখনো এরূপ পরিবর্তন ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। ... তবে, এটা হাস্যকর চিন্তা যে, ‘মানুষের পুত্র’ বাক্যাংশটার পরিবর্তে অসাবধানতাবশত ‘ঈশ্বরের পুত্র’ লেখা হবে এবং এরপর তাকে প্রশ্নাতীতভাবে চিরস্থায়ী করা হবে! শব্দগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করলে এরূপ চিন্তা হাস্যকর।’’[1]