লগইন করুন
তৌরাতের পঞ্চম পুস্তক দ্বিতীয় বিবরণ ৩/১৪ (মো.-১৩): ‘‘মানশার (মনঃশির) সন্তান যায়ীর (Jair the son of Manasseh) গশূরীয়দের ও মাখাথীয়দের সীমা পর্যন্ত অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তাদের নাম অনুসারে বাশন দেশের সেসব স্থানের নাম হবোৎ-যায়ীর রাখল; আজও (অদ্য পর্যন্ত (unto this day) সেই নাম প্রচলিত আছে।’’
বাইবেল বিশেষজ্ঞরা একমত যে, এ কথাগুলো সংযোজিত। ‘অদ্য পর্যন্ত’ কথাটা যিনি লেখেছেন তিনি অবশ্যই যায়ীরের যুগের অনেক পরের মানুষ। অনেক পরের মানুষেরা ছাড়া কেউ এ প্রকারের শব্দাবলি ব্যবহার করে না।
এছাড়া ‘মানশার সন্তান যায়ীর’ কথাটা ভুল। যায়ীরের পিতার নাম ‘সগূব’: ‘‘সগুবের পুত্র যায়ীর, গিলিয়দ দেশে তাঁহার তেইশটি নগর ছিল।’’ (১ বংশাবলি ২/২২)
যায়ীর নামক এ ব্যক্তি মোশির পরের প্রজন্মের মানুষ ছিলেন। ইয়াকুব বা যাকোবের পুত্র লেবি, তার পুত্র কহাৎ, তাঁর পুত্র ইমরান, তাঁর পুত্র মোশি। আর যাকোবের অন্য পুত্র এহুদা, তাঁর পুত্র পেরস, তাঁর পুত্র হিষ্রোণ, তাঁর পুত্র সগূব, তাঁর পুত্র যায়ীর। (১ বংশাবলি/ খান্দাননামা ২/১-২৩ ও ৬/১-৩)
এভাবে আমরা দেখছি যে, সগূব ছিলেন মোশির প্রজন্মের এবং সগূবের পুত্র যায়ীর মোশির পরের প্রজন্মের মানুষ। কাজেই একথা নিশ্চিতরূপে বলা যায় যে, এ বক্তব্যটার পুরোটাই অনেক পরের সংযোজন। সংযোজনকারী যায়ীরের নাম ও তাঁর মালিকানাধীন গ্রামগুলোর নামের বিষয়ে জনশ্রুতির উপর নির্ভর করে কথাটা লেখেছেন। এজন্য তিনি যায়ীরের পিতার নামও ঠিকমত লেখতে পারেননি।
এরূপ সংযোজনের আরো নমুনা দেখুন: আদিপুস্তক ১৯/৩৭; ১৯/৩৮; ২৬/৩৩; ৩২/৩২; ৩৫/২০; ৪৭/২৬; ৪৮/১৫; যাত্রাপুস্তক ১০/৬; গণনা পুস্তক ২২/৩০; দ্বিতীয় বিবরণ: ২/২২, ৩/১৪, ১০/৮, ১১/৪, ২৯/৪, ৩৪/৬; যিহোশূয় ৫/৯, ৮/২৮ ও ২৯, ১০/২৭, ১৩/১৩, ১৪/১, ১৫/৬৩, ১৬/১০।