লগইন করুন
মথি (৫/৯) লেখেছেন: ‘‘ধন্য যারা মিলন করে দেয় (Blessed are the peacemakers), কারণ তারা আল্লাহর পুত্র বলে আখ্যায়িত হইবে।’’ (মো.-১৩)
লূক (৯/৫৬) লেখেছেন: ‘‘কারণ মনুষ্যপুত্র মনুষ্যদের প্রাণনাশ করিতে আইসেন নাই; কিন্তু রক্ষা করিতে আসিয়াছেন।’’ (শুধু কেরির অনুবাদে বাক্যটা বিদ্যমান)
পক্ষান্তরে মথি (১০/৩৪) লেখেছেন: ‘‘মনে করো না যে, আমি দুনিয়াতে শান্তি দিতে এসেছি; শান্তি দিতে আসিনি, কিন্তু তলোয়ার দিতে এসেছি।’’ (মো.-১৩)
লূক ১২/৪৯ ও ৫১ (মো.-১৩): ‘‘আমি দুনিয়াতে আগুন জ্বালাতে এসেছি; আর এখন যদি তা প্রজ্বলিত হয়ে থাকে, তবে আর চাই কি? ... তোমরা কি মনে করছ, আমি দুনিয়াতে শান্তি দিতে এসেছি? তোমাদিগকে বলছি, তা নয়, বরং বিভেদ।’’
উপরের বক্তব্যগুলোর মধ্যে বৈপরীত্য সুস্পষ্ট। প্রথম দুটো বক্তব্যে শান্তি, ঐক্য ও মিলন সৃষ্টিকারীদের প্রশংসা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, যীশু নিজেও ধ্বংস নয়, বরং রক্ষা করতে আগমন করেন। কিন্তু শেষ দুটো বক্তব্যে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলা হয়েছে যে, তিনি খড়্গ, হানাহানি, ধ্বংস ও বিভেদ সৃষ্টির জন্য আগমন করেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, তিনি মুক্তি, শান্তি, মিলন ও রক্ষার জন্য আগমন করেননি; কাজেই যাদেরকে ধন্য বলা হবে এবং ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত নন।