লগইন করুন
উপরের উদ্ধৃত মথি, মার্ক ও লূকের বর্ণনা থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, মহিলারা কবরের মধ্যে প্রবেশ করেন এবং স্বর্গদূতের (ফেরেশতার) মাধ্যমে যীশুর পুনরুত্থানের সুসংবাদ পান। মহিলাদের পরে কোনো পুরুষ শিষ্য কবরের নিকট গিয়েছিলেন বলে মথি ও মার্ক লেখেননি। বরং তাঁদের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, আর কোনো শিষ্য কবরের কাছে জান নি। বরং যীশুই শিষ্যদেরকে সাক্ষাৎ দেন।
তবে লূক কিছু ভিন্ন তথ্য প্রদান করেছেন। তিনি লেখেছেন যে, কবরের ভিতরে প্রবেশের পর স্বর্গদূতের মুখে যীশুর পুনরুত্থানের সংবাদ জেনে মহিলারা সাহাবী ও অন্য সকলকে এ সংবাদ প্রদান করেন। ‘‘কিন্তু সেই সব কথা তাঁদের কাছে বাজে কথার মতই মনে হল। সেই জন্য সেই স্ত্রীলোকদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করলেন না। পিতর কিন্তু উঠে দৌড়ে কবরের কাছে গেলেন এবং নীচু হয়ে কেবল কাপড়গুলোই দেখতে পেলেন। যা ঘটেছে তাতে আশ্চর্য হয়ে তিনি ফিরে আসলেন।’’ (লূক ২৪/১১-১২)
লূকের বর্ণনা থেকে আমরা জানছি যে, কবরে মূলত মহিলারাই প্রবেশ করেন। পরে তাঁদের মুখে সংবাদ পেয়ে শিষ্যরা বিশ্বাস না করলেও পিতর কবরের নিকট গমন করেন। তিনি কবরে প্রবেশ করেননি, তবে নিচু হয়ে ভিতরে দৃষ্টি দেন।
যোহন সম্পূর্ণ বিপরীত বর্ণনা দিলেন। তিনি বললেন: মহিলা কবরের পাথর সরানো দেখে দৌড়ে গিয়ে শিষ্যদেরকে সংবাদ দেন। শিষ্যদ্বয়ই কবরে প্রবেশ করেন। কোনো মহিলা কবরে প্রবেশ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপরের বক্তব্যের পরে যোহন লেখেছেন যে, মরিয়মের মুখে লাশ চুরির খবর পেয়ে ‘‘পিতর আর সেই অন্য শিষ্যটি তখন বের হয়ে কবরের দিকে যেতে লাগলেন। দু’জন একসংগে দৌড়াচ্ছিলেন। অন্য শিষ্যটি পিতরের আগে আগে আরও তাড়াতাড়ি দৌড়ে কবরের কাছে আসলেন, কিন্তু তিনি কবরের ভিতরে গেলেন না। তিনি নীচু হয়ে দেখলেন, যীশুর দেহে যে কাপড়গুলো জড়ানো হয়েছিল সেগুলো পড়ে আছে। শিমন-পিতরও তাঁর পিছনে পিছনে এসে কবরের ভিতর ঢুকলেন এবং কাপড়গুলো পড়ে থাকতে দেখলেন...। যে শিষ্য প্রথমে কবরের কাছে পৌঁছেছিলেন তিনিও তখন ভিতরে ঢুকলেন এবং দেখে বিশ্বাস করলেন।... মরিয়ম বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগলেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে নীচু হয়ে কবরের ভিতরে চেয়ে দেখলেন... মরিয়ম পিছন ফিরে দেখলেন যীশু দাঁড়িয়ে আছেন।’’ (যোহন ২০/৩-১৪: পবিত্র বাইবেল-২০০০)