লগইন করুন
মথি ও মার্ক লেখেছেন: ‘‘যে দু’জন দস্যু তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিল, তারাও সেই একই কথা বলে তাঁকে তিরস্কার করলো।’’ (মথি ২৭/৪৪; মার্ক ১৫/৩২, মো.-১৩)
পক্ষান্তরে লূক লেখেছেন যে, দু’জন দুষ্কৃতিকারী বা দস্যুর একজন তাঁকে তিরস্কার ও নিন্দা করছিল, কিন্তু দ্বিতীয় দুষ্কৃতিকারী তিরস্কারকারী দস্যুকে রাগ করে এবং যীশুকে বলে: ‘‘ঈসা আপনি যখন আপন রাজ্যে ফিরে আসবেন তখন আমাকে স্মরণ করবেন। তিনি তাকে বললেন, আমি তোমাকে সত্যি বলছি, আজই তুমি পরমদেশে (ফিরদাউস/Paradise) আমার সঙ্গে উপস্থিত হবে।’’ (লূক ২৩/৩৯-৪৩, মো.-১৩)
সম্মানিত পাঠক, উভয় বর্ণনার বৈপরীত্য ছাড়াও একটা বিষয় লক্ষণীয়। ক্রুশে বিদ্ধ ডাকাত। প্রচণ্ড যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণ চলছে। নিশ্চিত মৃত্যুর চিন্তা তাকে আচ্ছন্ন করেছে। এমন অবস্থাতেও তাদের মধ্যে তিরস্কার করার বা খোশ গল্প করার মানসিকতা বিদ্যমান। এরূপ অবস্থাতেও তারা সহমরণের যাত্রীকে তিরস্কার করছে! পরবর্তী অনুচ্ছেদে আমরা দেখব যে, যীশু ‘‘আল্লাহ্ আমার, আল্লাহ্ আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?’’ বলে চিৎকার করে যীশু মৃত্যুবরণ করেন। পক্ষান্তরে ডাকাত দু’জন কোনো চিৎকার, হতাশা, বেদনার প্রকাশ ব্যতিরেকে সহমরণের যাত্রীকে উপহাস করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন। ইঞ্জিলের লেখকদের কথা বিশ্বাস করলে ডাকাতদ্বয়কেই বেশি সাহসী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও বিশ্বাসী বলে মনে করতে আমরা বাধ্য হই।