লগইন করুন
যীশু একটা ডুমুর গাছকে অভিশাপ দেন। এ বিষয়ে মথি লেখেছেন: ‘‘খুব ভোরে নগরে ফিরে যাবার সময়ে তাঁর (যীশুর) খিদে পেল। পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি তার কাছে গেলেন এবং পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক; আর হঠাৎ সেই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল। তা দেখে সাহাবীরা আশ্চর্য জ্ঞান করে বললেন, ডুমুরগাছটা হঠাৎ কেমন করে শুকিয়ে গেল? জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন ...।’’ (মথি ২১/১৮-২১)।
আর মার্ক লেখেছেন: ‘‘পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বের হয়ে আসলে পর তিনি ক্ষুধার্ত হলেন; এবং দূর থেকে পাতায় ঢাকা একটি ডুমুর গাছ দেখে, হয়তো তা থেকে কিছু ফল পাবেন বলে কাছে গেলেন; কিন্তু কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কেননা তখন ডুমুর ফলের সময় ছিল না। তিনি গাছটিকে বললেন, এখন থেকে কেউ কখনও তোমার ফল ভোজন না করুক। এই কথা তাঁর সাহাবীরা শুনতে পেলেন। পরে তাঁরা জেরুশালেমে আসলেন ... আর সন্ধ্যা হলে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা নগরের বাইরে চলে গেলেন। খুব ভোরে তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটি সমূলে শুকিয়ে গেছে। তখন পিতর আগের কথা স্মরণ করে তাঁকে বললেন, রবিব, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে বদদোয়া দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে। জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন...।’’ (মার্ক ১১/১২-২২)
দুটো বর্ণনার মধ্যে বৈপরীত্য স্পষ্ট। প্রথম বর্ণনায় অভিশাপের সাথেসাথেই গাছটা শুকিয়ে গেল এবং শিষ্যরাও তখনই তা দেখলেন। দ্বিতীয় বর্ণনায় পরদিন সকালে শিষ্যরা গাছটার শুকিয়ে যাওয়া দেখলেন।