লগইন করুন
সুপ্রিয় পাঠক, অরুচিকর শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত। তবে বাইবেলের আলোচনায় এ জাতীয় অনেক শব্দ ব্যবহার করতে আমরা বাধ্য হব। শৌল (তালুত)-এর মেয়ে মীখলের সাথে দাউদের বিবাহের নির্ধারিত যৌতুক বা পণ ছিল, দাউদকে ১০০ ফিলিস্তিনি পুরষের পুরুষাঙ্গের প্রান্তের চামড়া কেটে কনেকে বা কনের পিতাকে উপহার দিতে হবে। কিন্তু তিনি মূলত কতজন পুরুষের পুরুষাঙ্গের কর্তিত চামড়া পণ প্রদান করেছিলেন সে বিষয়ে শমূয়েলের পুস্তকের বর্ণনায় বৈপরীত্য রয়েছে।
এক স্থানে বলা হয়েছে: ‘‘বাদশাহ কোন পণ চান না, কেবল বাদশাহর দুশমনদের প্রতিশোধের জন্য ফিলিস্তিনিদের এক শত লিঙ্গাগ্রত্বক (an hundred foreskins) চান। ... পরে তাঁর গোলামেরা দাউদকে সেই কথা জানালে দাউদ রাজ-জামাতা হতে তুষ্ট হলেন। তখনও কাল সম্পূর্ণ হয়নি; দাউদ তাঁর লোকদের সঙ্গে উঠে গিয়ে দুই শত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করলেন এবং বাদশাহর জামাতা হবার জন্য দাউদ পূর্ণ সংখা অনুসারে তাদের লিঙ্গগ্রত্বক এনে বাদশাহকে দিলেন; পরে তালুত তাঁর সঙ্গে তাঁর কন্যা মীখলের বিয়ে দিলেন।’’ (১ শমূয়েল ১৮/২৫-২৭, মো.-১৩)
এখানে আমরা দেখছি যে, শৌলের দাবিকৃত ১০০ লিঙ্গাগ্রত্বক-এর পরিবর্তে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২০০ লিঙ্গাগ্রত্বক পণ প্রদান করলেন। কিন্তু অন্যত্র দাউদ বলেছেন যে, তিনি ১০০ লিঙ্গাগ্রত্বক প্রদান করেছিলেন: ‘‘আর দাউদ তালুতের পুত্র ঈশবোশতের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, আমি ফিলিস্তিনীদের এক শত লিঙ্গগ্রত্বক পণ দিয়ে যাকে বিয়ে করেছি, আমার সেই স্ত্রী মীখলকে দাও।’’ (২ শমূয়েল ৩/১৪, মো.-১৩)