লগইন করুন
নতুন নিয়মের ২১ ও ২২তম পুস্তিকাদ্বয় পিতরের নামে পরিচিত। পুস্তক দু’টার প্রথমে পিতরের নাম বিদ্যমান: ‘‘Peter, an apostle of Jesus Christ/ Simon Peter, a servant and an apostle of Jesus Christ: পিতর, যীশু খ্রিষ্টের প্রেরিত/ পিতর যীশু খ্রিষ্টের দাস ও প্রেরিত।’’ (১ পিতর ১/১ ও ২ পিতর ১/১)
এ থেকে জানা যায়, পত্র দু’টার লেখক যীশুর শিষ্য পিতর। কিন্তু গবেষকরা বলছেন যে, পত্রটা পিতরের নামে অজ্ঞাত লেখকের লেখা। উইকিপিডিয়া লেখেছে: “Most scholars today conclude that Peter was not the author of the two epistles that are attributed to him and that they were written by two different authors.” ‘‘অধিকাংশ গবেষকই বর্তমানে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, পিতরের নামে লেখা পত্র দু’টার লেখক পিতর নন এবং দু’টা পত্র পৃথক দুজন লেখকের লেখা।’’ (উইকিপিডিয়া, Authorship of the Petrine epistles)
পিতরের ১ম পত্র (First Epistle of Peter) প্রবন্ধে উইকিপিডিয়া লেখেছে:
“Although the text identifies Peter as its author the language, dating, style, and structure of this letter has led many scholars to conclude that this letter is pseudonymous. Many scholars are convinced that Peter was not the author of this letter because the author had to have a formal education in rhetoric/philosophy and an advanced knowledge of the Greek language.”
‘‘যদিও পাঠের মধ্যে পিতরকে লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তবে এ পত্রটার ভাষা, তারিখ, রচনাশৈলী এবং কাঠামো অনেক গবেষককে এ সিদ্ধান্তে নিয়ে গিয়েছে যে, এ পত্রটা পরনামে লেখা। অনেক গবেষকই নিশ্চিত যে, এ পত্রের লেখক পিতর নন; কারণ এ পত্রের লেখককে অলঙ্কারশাস্ত্র/দর্শনশাস্ত্র এবং গ্রিকভাষায় উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছিল।’’
পিতরের দ্বিতীয় পত্র প্রসঙ্গে উইকিপিডিয়া বলছে: “Second Peter quotes from and adapts Jude extensively, identifies Jesus with God, and addresses a threatening heresy which had arisen because the anticipated Second Coming of Christ had not yet occurred. It is the first New Testament book to treat other New Testament writings as scripture. Second Peter was one of the last letters included in the New Testament canon and is one of the texts that were in dispute before the canon was finalized.”
‘‘২ পিতর এহুদার/ যিহুদার পত্র থেকে ব্যাপক উদ্ধৃতি গ্রহণ করেছে, যীশুকে ঈশ্বরের সাথে অভিন্ন করেছে এবং যীশুর প্রত্যাশিত দ্বিতীয় আগমন তখন পর্যন্ত না ঘটার কারণে যে ধর্মদ্রোহিতার উদ্ভব হয়েছিল তা আলোচনা করেছে। নতুন নিয়মের মধ্যে এটাই প্রথম পুস্তক যা নতুন নিয়মের লেখনিকে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গণ্য করেছে। নতুন নিয়মের মধ্যে যে সকল পুস্তককে সব শেষে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নতুন নিয়মের স্বীকৃত পুস্তকগুলো নির্ধারণ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত যে পুস্তকগুলো নিয়ে বিতর্ক ছিল সেগুলোর অন্যতম পিতরের ২য় পত্র।’’ (উইকিপিডিয়া: Second Epistle of Peter)
‘Authorship of the Petrine epistles’ প্রবন্ধে উইকিপিডিয়া বলছে:
“Although 2 Peter internally purports to be a work of the apostle, most biblical scholars have concluded that Peter is not the author, and instead consider the epistle pseudepigraphical. Reasons for this include its linguistic differences from 1 Peter, its apparent use of Jude, possible allusions to 2nd-century gnosticism, encouragement in the wake of a delayed parousia, and weak external support. In addition, specific passages offer further clues in support of pseudepigraphy, namely the author's assumption that his audience is familiar with multiple Pauline epistles (2Peter 3:15-16), his implication that the Apostolic generation has passed (2Peter 3:4), and his differentiation between himself and "the apostles of the Lord and Savior" (2Peter 3:2)”
‘‘যদিও ২ পিতর অভ্যন্তরীণভাবে বুঝাচ্ছে যে, তা একজন প্রেরিত শিষ্যের লেখা, তবুও অধিকাংশ বাইবেল বিশেষজ্ঞই এ সিদ্ধান্তে একমত যে, পিতর এ পুস্তকের লেখক নন। এর বিপরীতে তারা মনে করেন যে, পত্রটা ছদ্মনামে বা পরনামে লেখা। এ সিদ্ধান্তের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ পিতরের সাথে ২ পিতরের ভাষাগত বৈপরীত্য, ২ পিতরে সুস্পষ্টত যিহূদার পত্রের ব্যবহার, ২য় শতকে বিদ্যমান রহস্যবাদের প্রতি সম্ভাব্য ইঙ্গিতসমূহ, খ্রিষ্টের পুনরাগমনে বিলম্ব হওয়ার প্রেক্ষাপটে উৎসাহ প্রদান এবং বাহ্যিক সমর্থনের দুর্বলতা। এ ছাড়াও কিছু শ্লোক পত্রটা ছদ্মনামি হওয়ার আরো সূত্র প্রদান করে। যেমন, লেখক ধরে নিয়েছেন যে, তার পাঠকবর্গ পলের বহুবিধ পত্রের সাথে পরিচিত (২ পিতর ৩/১৫-১৬), তিনি বুঝাচ্ছেন যে, প্রেরিতগণের প্রজন্ম শেষ হয়ে গিয়েছে (২ পিতর ৩/৪) এবং ‘প্রভু ও ত্রাণকর্তার প্রেরিতগণ’ থেকে লেখক নিজেকে ভিন্ন হিসেবে উপস্থাপন করছেন (২ পিতর ৩/২)।’’
পিতরের পত্রদ্বয়ের বিদ্যমান প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপির খণ্ডতে টুকরোগুলো (earliest known fragment) ৩য়/৪র্থ শতাব্দীতে লেখা। (উইকিপিডিয়া, Dating the Bible)