লগইন করুন
বিগত কয়েক শতাব্দী যাবৎ গবেষণার মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকার ইহুদি-খ্রিষ্টান গবেষকরা সাধারণভাবে একমত পোষণ করছেন যে, প্রচলিত তৌরাতের পঞ্চপুস্তক মোশির অনেক পরের সময়ে রচিত ও সংকলিত। এনকার্টা বিশ্বকোষের বাইবেল (Bible) প্রবন্ধের পুরাতন নিয়ম (Old Testament) পরিচ্ছেদে পুরাতন নিয়মের বিবর্তন (Development of the Old Testament) অনুচ্ছেদ পঞ্চপুস্তক (Pentateuch) শিরোনামে বলা হচ্ছে:
“According to Jewish and Christian tradition, Moses was the author of the Pentateuch, the first five books of the Bible. Nowhere in the books themselves, however, is this claim made; tradition stemmed in part from the Hebrew designation of them as the books of Moses, but that meant concerning Moses. As early as the Middle Ages, Jewish scholars recognized a problem with the tradition: Deuteronomy... reports the death of Moses. The books are actually anonymous and composite works. On the basis of numerous duplications and repetitions, including two different designations of the deity, two separate accounts of creation, two intertwined stories of the flood, two versions of the Egyptian plagues, and many others, modern scholars have concluded that the writers of the Pentateuch drew upon several different sources, each from a different writer and period.”
‘‘ইহুদি ও খ্রিষ্টান ঐতিহ্য অনুসারে মোশি বাইবেলের প্রথম পাঁচ পুস্তকের লেখক; যদিও এ পাঁচ পুস্তকের মধ্যে কোথাও এরূপ কথা দাবি করা হয় নি। হিব্রু ভাষায় পুস্তকগুলোকে ‘মোশির পুস্তক’ বলা হয়, আর মূলত এ থেকেই ইহুদি-খ্রিষ্টান ঐতিহ্যে দাবি করা হয়েছে যে, এগুলো মোশির লেখা। কিন্তু বাস্তবে ‘মোশির পুস্তক’ বলতে ‘মোশি সংশিস্নষ্ট পুস্তক’ বুঝানো হয়েছে। সেই মধ্যযুগ থেকেই ইহুদি পণ্ডিতরা তাদের এ ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের একটা সমস্যা স্বীকার করেছেন: তা হল দ্বিতীয় বিবরণ পুস্তকের মধ্যে মোশির মৃত্যুর বিবরণ রয়েছে। প্রকৃত বিষয় হল, এ পুস্তকগুলো লেখকের নামহীন এবং বিভিন্ন অংশ জোড়া দিয়ে একত্রিত করা পুস্তক। এগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অগণিত প্রতিলিপি, পুনরাবৃত্তি, একই ঈশ্বরের বিভিন্ন উপাধি, সৃষ্টি বিষয়ক সম্পূর্ণ পৃথক দু’টা বিবরণ, মহাপস্নাবনের পরস্পর জড়ানো দু’টা ভিন্ন কাহিনী, মিসরীয় মহামারীর পৃথক দু’টা সংস্করণ এবং আরো অনেক বিষয় দ্বারা আধুনিক গবেষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, পঞ্চপুস্তকের লেখকরা বিভিন্ন পৃথক সূত্র থেকে তাদের তথ্যাদি সংগ্রহ করেন এবং প্রতিটাই বিভিন্ন লেখকের এবং বিভিন্ন যুগে লেখা।’’[1]
উইকিপিডিয়ায় Authorship of the Bible প্রবন্ধে বলা হয়েছে:
According to Rabbinic tradition the five books of the Torah were written by Moses, ... Today the majority of biblical scholars accept the theory that the Torah does not have a single author, and that its composition took place over centuries. ,,, From the late 19th century there was a general consensus among secular scholars ... that the first four books were created c.450 BCE by combining four originally independent sources, .... Deuteronomy is treated separately ...The process of its formation probably took several hundred years, from the 8th century to the 6th.....
‘‘ইহুদি ধর্মগুরুদের ঐতিহ্য অনুসারে তৌরাতের পাঁচ পুস্তক মোশির লেখা। ... বর্তমানে অধিকাংশ বাইবেল গবেষক এ মত গ্রহণ করেছেন যে, তৌরাত একজন লেখকের একক লেখা নয় এবং বহু শতাব্দী ধরে ক্রমান্বয়ে এগুলো সংকলিত হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে লোকায়ত গবেষকদের মধ্যে সাধারণ ঐকমত্য বিদ্যমান যে, তৌরাতের প্রথম চার পুস্তক খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের দিকে তৈরি করা হয়েছে। ..... দ্বিতীয় বিবরণ পুস্তকটা প্রথম চারটা থেকে ভিন্নভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। .... সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ৮ম শতাব্দী থেকে ৬ষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত কয়েক শত বছর ধরে এর গঠন প্রক্রিয়া চলমান ছিল।’’
উইকিপিডিয়ায় ‘বাইবেলের তারিখ নির্ধারণ’ (Dating the Bible), ‘বাইবেলের লেখকত্ব’ (Authorship of the Bible), ‘মোশির লেখকত্ব’ (Mosaic authorship) ইত্যাদি প্রবন্ধ পাঠ করলে পাঠক বিস্তারিত জানতে পারবেন।