লগইন করুন
কুরআন কারীমের প্রায় প্রতি পৃষ্ঠাতেই বিভিন্নভাবে মুশরিকদের বিভ্রান্তি খন্ডন করা হয়েছে এবং তাদের কর্মের অযৌক্তিকতা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ সকল যুক্তি ও আলোচনা বিস্তারিত জানতে হলে অর্থ অনুধাবন-সহ কুরআন পাঠই আমাদের মূল করণীয়। এখানে অতি সংক্ষেপে কুরআনের এ বিষয়ক আলোচনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করব।
আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, কুরআনে অধিকাংশক্ষেত্রে দু শ্রেণীর মুশরিকের আকীদা খন্ডন করা হয়েছে: (১) আরবের মুশরিকগণ এবং (২) ইহূদী-খৃস্টানগণ।
আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, প্রথম দলের মুশরিকগণ একবাক্যে স্বীকার করত যে, মহান আল্লাহই একমাত্র স্রষ্টা ও সর্বশক্তিমান ও সার্বভৌম মালিক এবং তিনি কল্যাণ বা অকল্যাণের কোনো ফয়সালা দিলে তা রোধ করার ক্ষমতা কোনো উপাস্যেরই নেই। তবে সাধারণ অবস্থাতে এরা কিছু কল্যাণের ক্ষমতা রাখে যে ক্ষমতা তাদেরকে আল্লাহই ভালবেসে দিয়েছেন। এদের ডাকলে আল্লাহ খুশি হন এবং এদের সুপারিশ আল্লাহ ফেলেন না।
এ বিশ্বাসের ভিত্তিতে তারা ফিরিশতা, জিন্ন, পূর্ববর্তী কোনো কোনো নবী-রাসূল এবং অনেক প্রতিমা-মুর্তি ও প্রতিকৃতির ইবাদত করত।
দ্বিতীয় দলের মানুষেরাও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করত। খৃস্টানগণ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে বিভিন্ন অতিভক্তিমূলক বিশ্বাসের কারণে শিরক করত। এছাড়া মরিয়ম (আঃ)-এর ও ইবাদত করত। উপরন্তু অনেক সাধু, সেন্ট বা সান্তার ভক্তির নামে তারা তাদের ইবাদত করত।
এদের শিরকের অযৌক্তিকতা বর্ণনায় কুরআনের যুক্তির মধ্যে রয়েছে: