লগইন করুন
কুরআন-হাদীসের আলোকে আমরা দেখি যে, শিরকের অন্যতম কারণ পূর্ববর্তী বিভ্রান্ত ব্যক্তিদের অন্ধ-অনুকরণ। আমরা ইতোপূর্বে আরবের কাফিরদের প্রসঙ্গে দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কুরআনের মাধ্যমে তাদের শিরকের সকল যুক্তির অসারতা প্রমাণ করতেন তখন তারা সর্বশেষ যুক্তি হিসেবে সমাজের প্রচলন ও পূর্বপুরুষদের কর্মকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করত এবং শিরক পরিত্যগ করতে অস্বীকার করত।
ইহূদী-খৃস্টানদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সুস্পষ্ট। তাদের নিকট বিদ্যমান বিকৃত ‘বাইবেল’ সুস্পষ্টরূপে তাদের শিরকের অসারতা প্রমাণ করে। বাইবেলের অগণিত আয়াত একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির, মুর্তির বা প্রতিকৃতির পূজা ও উপাসনা কঠিনভাবে নিষেধ করে। বাইবেলের কোথাও ত্রিত্ববাদ এবং ঈসা (আঃ)-এর ইবাদত করার কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশ নেই। এ সকল বিষয় তাদের কাছে সুস্পষ্ট করার পরেও তারা তাদের শিরক পরিত্যাগ করতে রাজি হন না। মূলত তাদের যুক্তি একটিই, পৌল ও তার অনুসারী মুশরিকদের প্রতি তাদের ভক্তি এবং হাওয়ারী বা শিষ্যগণের নামে প্রচলিত কিছু মিথ্যা কথার ভিত্তিতে তাদেরকেও এরূপ মুশরিক মনে করে তাদের অনুসরণের দাবি। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন:
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ غَيْرَ الْحَقِّ وَلا تَتَّبِعُوا أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ
‘‘বল, হে কিতাবীগণ, তোমরা তোমাদের দীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না এবং সে সম্প্রদায় ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে ও অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না।’’[1]