লগইন করুন
হাদীসে এসেছে: উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَيْسَ أَحَدٌ يُحَاسَبُ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَّا هَلَكَ» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا} [الانشقاق: 8] فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا ذَلِكِ العَرْضُ، وَلَيْسَ أَحَدٌ يُنَاقَشُ الحِسَابَ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَّا عُذِّبَ»
“কিয়ামতের দিন যার হিসাব তলব করা হবে সেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি (আয়েশা) তখন বললাম, আল্লাহ তা‘আলা কি বলেননি: আর যার ডান হাতে আমল নামা দেওয়া হবে তার হিসাব নেওয়া হবে সহজ ভাবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন: এখানে আমলের হিসাব প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। যার হিসাবেই জওয়াব তলব করা হবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে”।[1]
এ হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম:
এক. কিয়ামতে দিন যার হিসাবে নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে তার রেহাই নেই।
দুই. আমাদের মুমিনদের মাতা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ইলম, প্রজ্ঞা, কুরআনের জ্ঞান কতখানি ছিল যে তিনি কুরআনের আয়াত দিয়ে আল্লাহর রাসূলের কথা বিচার করতে চেয়েছন। তাই দীনি ক্ষেত্রে বড়দের সকল কথাই যাচাই বাছাই না করে মেনে নিতে হবে এ ধারনা সঠিক নয়।
তিন. আল কুরআনে যেখানে বলা হয়েছে যাদের ডান হাতে আমল নামা দেওয়া হবে তাদের হিসাব সহজ করা হবে, এর অর্থ হলো তাদের কাছে সহজে আমল নামা পেশ করা হবে।
চার. কিয়ামতের দিন যার হিসাব পর্যালোচনা করা হবে সে আটকে যাবে। তাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সর্বদা বিনা হিসাবে জান্নাত লাভের প্রার্থনা করা উচিত।