লগইন করুন
আরবের মুশরিকরা ফিরিশতাদের-কে আল্লাহ তা‘আলার কন্যা বলে জ্ঞান করতো। তাই তারা ফিরিশতাদের পূজা করতো। কিয়ামতের দিনে এ পূজ্য ফিরিশতাগণ মুশরিকদের পুজার সাথে তাদের কোনো রকম সম্পর্ক ছিলো না বলে ঘোষণা দিবে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيَوۡمَ يَحۡشُرُهُمۡ جَمِيعٗا ثُمَّ يَقُولُ لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ أَهَٰٓؤُلَآءِ إِيَّاكُمۡ كَانُواْ يَعۡبُدُونَ ٤٠ قَالُواْ سُبۡحَٰنَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِمۖ بَلۡ كَانُواْ يَعۡبُدُونَ ٱلۡجِنَّۖ أَكۡثَرُهُم بِهِم مُّؤۡمِنُونَ ٤١﴾ [سبا: ٤٠، ٤١]
“আর স্মরণ কর, যেদিন তিনি তাদের সকলকে সমবেত করবেন তারপর ফিরিশতাদেরকে বলবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত? তারা (ফেরেশতারা) বলবে, আপনি পবিত্র মহান, আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জিনদের পূজা করত। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখত”। [সূরা সাবা, আয়াত: ৪০-৪১]
﴿فَٱلۡيَوۡمَ لَا يَمۡلِكُ بَعۡضُكُمۡ لِبَعۡضٖ نَّفۡعٗا وَلَا ضَرّٗا وَنَقُولُ لِلَّذِينَ ظَلَمُواْ ذُوقُواْ عَذَابَ ٱلنَّارِ ٱلَّتِي كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ ٤٢﴾ [سبا: ٤٢]
“ফলে আজ তোমাদের একে অপরের কোনো উপকার কিংবা অপকার করার ক্ষমতা কেউ রাখবে না। আর আমি যালিমদের উদ্দেশ্যে বলব, তোমরা আগুনের আযাব আস্বাদন কর যা তোমরা অস্বীকার করতে”। [সূরা সাবা, আয়াত: ৪২]
ফিরিশতাগণ বলবেন, সুবহানাল্লাহ! আমরা তো আপনারই বান্দা। আমরা আপনারই ইবাদত করি। এরা কীভাবে পূজা করলো? আসলে তারা শয়তানের পূজা করেছে। এর সাথে হে আল্লাহ আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মুল কথা হলো: আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদত-বন্দেগী, পূজা-অর্চনা করা হয় তারা সেদিন কোনো উপকারে আসবে না। না পূজাকারী কোনো উপকার পাবে আর না পূজিত কোনো কাজে আসবে। সবাই সেদিন অসহায় হয়ে থাকবে।