লগইন করুন
সুন্নত আল্লাহ তা‘আলার সুরক্ষিত বেষ্টনী এবং তা প্রবেশকারীর জন্য নিরাপদ স্থান। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে প্রবেশকারী গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। সুন্নাত প্রাত্যহিক জীবনে আমলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পায়। সুন্নাত অনুযায়ী আমলের ক্ষেত্রে দুর্বলতার কারণে সুন্নাতের নূর হ্রাস পায়। মুনাফিক ও বিদআতপন্থীদের সুন্নাতের নূরও দূর হয়ে যায়। তাইতো কিয়ামতের দিন সুন্নাতের অনুসারীদের চেহারা উজ্জ্বল হবে। পক্ষান্তরে কাফির ও বিদআতপন্থীদর চেহারা কৃষ্ণবর্ণ ও মলিন হবে।
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَ تَسْوَدُّ وَ (آل عمران: 106)
অর্থঃ সেদিন কিছু চেহারা শ্বেতবর্ণ উজ্জ্বল আর কিছু চেহারা কৃষ্ণবর্ণ মলিন হবে।[1]
ইবনে আববাস (রা) বলেন, সুন্নাতের অনুসারীদের চেহারা শ্বেতবর্ণ ও উজ্জ্বল হবে। পক্ষান্তরে বিদআতপন্থী ও মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের চেহারা কৃষ্ণবর্ণ বা মলিন হবে।[2]
সুন্নাত হলো জীবন ও নূর যা বান্দার সৌভাগ্য, হেদায়াত ও বিজয় নিয়ে আসে।
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন :
أومَنْ كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُورًا يَمْشِى بهِ فِى النَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُ
(الأنعام :122)
অর্থঃ এমন ব্যক্তি যে ছিল প্রাণহীন। অতঃপর তাকে আমি জীবন দান করি এবং তার জন্য এমন আলোর (ব্যবস্থা) করে দেই যার সাহায্যে সে মানুষের মাঝে চলা-ফেরা করতে থাকে। সে কি এমন লোকের মতো হতে পারে যে (ডুবে) আছে অন্ধকার পুঞ্জের মধ্যে? তা হতে বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না। এরূপেই কাফিরদের জন্য তাদের কার্যকলাপ মনোরম বানিয়ে দেয়া হয়েছে।[3]
[2]ইজতিমাউল জুয়ুশিল ইসলামিয়াহ আলা গাজওয়াল মুআত্তালা ওয়াল জাহমিয়া- ইবনে কাইয়্যিম (র): ২/৩৯
[3] আনআম : ১২২