লগইন করুন
উত্তর : পর্যায়ক্রমে কাফিরদের মালিকানাধীন ধন-সম্পদ বিনষ্ট করা, তাদের দূর্গসমূহ ধ্বংস করা, সন্তানাদিকে হত্যা করা ইত্যাদি জিহাদের ক্ষেত্রে (জায়েয)।[1]জিহাদ এবং শাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে কারো জন্য অমুসলিমদের ক্ষতি করা জায়েয নয়। এমনটি করলে মুসলিমদের কোন লাভ /উপকার হয় না। বরং পরিণামে মুসলিমদের ক্ষতিই বেশি হয়ে থাকে। বিশৃঙখলাকারী, চরমপন্থী দল এবং আল্লাহর পথের জিহাদের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। জিহাদ মূলতঃ ইসলামী নেতৃত্ব ও ইসলামী ঝান্ডা তলে সমবেত সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত হয়। সুতরাং এ দু’য়ের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট। আমরা যেন দু’টিকে গুলিয়ে না ফেলি।
[1]. আছছ‘ব ইবনে জুছামাহ (রা.) বলেন, আমি বললাম ইয়া রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমরা সকাল বেলার আক্রমণের ক্ষেত্রে মুশরিকদের সন্তান-সন্ততিদের উপর আক্রমণ করে থাকি (এর বিধান কী?) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
অপর বর্ণনায় তাকে বলা হলো যদি রাতের বেলা কোন ঘোড়া মুশরিকদের সন্তানাদির উপর আক্রমণ করে বসে তাহলে এর হুকুম কি হবে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তারা তাদের পিতা-মাতার হুকুমের অনুগামী হবে। সহীহ মুসলিম হা/১৭৪৫, সুনান ইবনু মাযাহ হা/২৮৪০
শান্তি ও নিরাপত্তাপূর্ণ সময়ে আক্রমণ করার দলীল কোথায়? আমাদের শায়খ হাফিযাহুল্লাহ যেমনটি বর্ণনা করেছেন। তবে বিকৃত ফিকহ অথবা জাহালাত বা মূর্খতা দ্বারা জায়েয হতে পারে।