লগইন করুন
উত্তর : মূর্খের উপর ওয়াজিব হলো ইলম ছাড়া কোন কথা না বলে মৌনতা অবলম্বন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالأِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَنْ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَاناً وَأَنْ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لا تَعْلَمُونَ
বল, আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ- যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর উপরে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না। (সূরা আল আ‘রাফ আয়াত নং ৩৩)
জাহিলের জন্য ইলম ছাড়া ইলম সংক্রান্ত কোন মাসআলায় কথা বলা উচিত নয়। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা সমূহে যেমন; তাকফীর বা কাউকে কাফির ঘোষণা করা। এমনিভাবে গীবাত শেকায়েত করা। শাসকবর্গের এবং আলিম সমাজের গীবাত করা গীবাতের সবচেয়ে মারাত্মক প্রকার।[1] আমরা আল্লাহর নিকট এ প্রকার গীবাত করা থেকে মুক্তি প্রার্থনা করছি। এভাবে গীবাত করা জায়েয নয়।
এ কাজগুলো মূলত আহলুল হাল্লি ওয়াল আকবদ (রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক ও পর্যালোচকদের) এবং যে আলিমগণ শারঈ হুকুম আহকাম বর্ণনা করেন তাদের কাজ। সাধারণ জনগণ ও প্রাথমিক ও ছাত্রদের জন্য এহেন কাজ জায়েয নয়। আল্লাহ জাল্লা ওয়ালা ‘আলা বলেন,
وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِنَ الأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوا بِهِ وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلَى أُولِي الأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَهُ مِنْهُمْ وَلَوْلا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لاتبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ إِلاَّ قَلِيلاً
আর যখন তাদের কাছে শান্তি কিংবা ভীতিজনক কোন বিষয় আসে, তখন তারা তা প্রচার করে। আর যদি তারা সেটি রাসূলের কাছে এবং তাদের কর্তৃত্বের অধিকারীদের কাছে পৌঁছে দিত, তাহলে অবশ্যই তাদের মধ্যে যারা তা উদ্ভাবন করে তারা তা জানত। আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার রহমত না হতো, তবে অবশ্যই অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমরা শয়তানের অনুসরণ করতে। (সূরা আন নিসা আয়াত নং ৮৩)
সুতরাং জিহবাকে এসকল মাসআলা থেকে সংযত রাখা ওয়াজিব। বিশেষত তাকফীর ও আল অলা ওয়াল বারাআহ সংক্রান্ত বিষয়ে।
মানুষ কখনও কখনও ভুলবশতঃ অন্যের উপর দ্বলালাহ (ভ্রষ্টতা) ও কুফুরির হুকুম লাগায়। ফলে সেই হুকুম তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করে। কেননা কোন মানুষ যদি তার কোন ভাইকে হে কাফির, অথবা হে ফাসিক, বলে সম্বোধন করে এবং উক্ত সম্বোধিত ব্যক্তি যদি কাফির বা ফাসিক না হয় তাহলে সেই হুকুম সম্বোধনকারীর দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করছি।[2]
এ কাজ খুবই বিপজ্জনক। যে ব্যক্তিই আল্লাহকে ভয় করে তার উপর ওয়াজিব হলো নিজের জিহবাকে সংযত রাখা। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে সকল কর্মকর্তা ও আলিমগণকে এ কাজে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের জন্য হুকুম সাব্যস্ত করার পূর্বে পুংখানু পুংখানু ভাবে অনুসন্ধান করা ওয়াজিব।
কোন সাধারণ লোক অথবা প্রাথমিক ছাত্রের জন্য কারো উপর কাফির, ফাসিক ইত্যাদি হুকুম আরোপ করার অধিকার নাই। তারা হুকুম সাব্যস্ত করতে গেলে মূর্খতা বশতঃ এমন ব্যক্তিকে কাফির, ফাসিক ইত্যাদি বলে বসবে যে ব্যক্তি বাস্তবে এমন নয়। তাহলে এর দ্বারা উক্ত হুকুম সাব্যস্তকারীই সেই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে। মুসলিম ব্যক্তির জন্য অহেতুক কথা-বার্তা থেকে জিহবাকে হিফাযত করা ওয়াজিব।[3]
সাধারণ মুসলিমদের জন্য শারঈ হুকুম আহকাম নিরূপণ করতে গিয়ে ভুল বা শুদ্ধ করা, শাসকবর্গের ও আলিমগণের মান-সম্মান, ইজ্জত-সম্ভ্রমের সমালোচনা করা, তাদের উপর কুফুরির ফাতওয়া আরোপ করা খুবই মারাত্মক। অথচ এর দ্বারা তাদের কোনই ক্ষতি হয় না। বরং হুকুম আরোপকারীই ক্ষতির অন্তর্ভুক্ত হয়।
আলিমগণের মৃত্যুর মাধ্যমেই ‘ইলম উঠিয়ে নেওয়ার কার্য সাধিত হয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إن الله لا يقبض العلم انتزاعاً ينتزعه من العباد ولكن يقبض العلم بقبض العلماء حتى إذا لم يبق عالماً اتخذ الناس رؤوساً جهالاً فسئلوا فأفتوا بغير علم فضلوا وأضلوا
আল্লাহ বান্দাদের নিকট থেকে ইলম একেবারে সমূলে উঠিয়ে নেন না। বরং তিনি আলিমগণকে কবয করার মাধ্যমে ইলম উঠিয়ে নেন। এক পর্যায়ে যখন আর কোনো আলিম অবশিষ্ট থাকে না, তখন জনগণ মূর্খদেরকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করে। মূর্খরা কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ইলম ছাড়াই ফাতওয়া প্রদান করে এর দ্বারা তারা নিজেরা বিপথগামী হয় এবং অপরকে বিপথগামী করে।[4]
আল্লাহর কসম এটাই বর্তমানের বাস্তবতা যে, মূর্খ নেতারা ইলম ছাড়াই শরী‘আহ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা-বার্তা বলে, জনগণকে দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং ভাষণ-বক্তৃতা প্রদান করে। তাদের নিকট তো ইলম বা ফিকহের কিছুই নাই। বরং তাদের নিকট রয়েছে বিশৃঙখলা, অস্থিতিশীলতা, অমুক তমুকে বলেছে ইত্যাদি। তারা অমুক তমুকের অসার কথা দ্বারা জনগণকে বেফায়দা কাজে লিপ্ত করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, লোকজন মূর্খদেরকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে এরাই হলো তার বাস্তব রূপ।[5]
বড় পরিতাপের বিষয় হলো লোকজন তাদেরকে আলিম বলে অভিহিত করে। লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অথচ আপনি যদি তাদেরকে নব সংঘটিত কোন সমস্যা অথবা শারঈ হুকুম-আহকাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তারা আপনাকে কোন সহীহ বা বিশুদ্ধ উত্তর দিতে পারবে না। কেননা তারা এই ইলমকে ইলমই মনে করে না। তাদের মতে ইলম রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং তাদের ভাষায় কথিত ফিক্বহুল ওয়াকি’ বা বাস্তব ফিক্বহ। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা ইলম থেকে মাহরুম বা বঞ্চিত থেকে যায়। আল ‘ইয়াযু বিল্লাহ। আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
[1]. যে ব্যক্তি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলিমগণের উপর অপবাদ আরোপ করে সে যদি তাওবাহ না করে তাহলে তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য। আলিমগণ হলেন নাবীগণের ওয়ারিছ (উত্তরাধিকারী)। যদি আমরা আমাদের প্রবীণ আলিমগণকে আঁকড়ে না ধরি, তাদেরকে সম্মান না করি, তাদের নিকট থেকে ইলম অর্জন না করি তাহলে কার নিকট থেকে ইলম অর্জন করব? আমরা কি মূর্খ নেতাদের নিকট থেকে ইলম গ্রহণ করব? যাদের ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খবর দিয়েছেন? আমাদের শায়খ হাফিযাহুল্লাহ অচিরেই এপ্রসঙ্গে আলোচনা করবেন।
সম্মানিত শায়খ সলিহ ইবনে আব্দুল আযীয আলিশ শায়খ বলেন, প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য ইলম ছাড়া কোন কিছু বলা, দলীল ছাড়া কোন কিছু করা ও বলার দুঃসাহসিকতা থেকে সতর্ক থাকা ওয়াজিব। বিশেষত ‘আকীদা, ঈমান সংক্রান্ত মাসআলা-মাসাইল, হালাল-হারাম ইত্যাদি বিষয়ে ইলম ও দলীল ছাড়া কোন কিছু বলা থেকে পূর্ণ সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক। উম্মাহর মাঝে হক থেকে পদচ্যুতির সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে থাকে মুসলিম ব্যক্তিকে কাফির বলার ক্ষেত্রে। উছমান (রা.) এর যুগে যে খারিজীদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাদের পদচ্যুতির মূল কারণ ছিল (তাদের দৃষ্টিতে ) উছমান (রা.) আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক ওয়াজিবকৃত বিষয় বাস্তবায়ন করেননি। (নাউযুবিল্লাহ)
তাদের কেউ কেউ তাকে কে কাফির বলত। আবার তাদেও কেউ কেউ তাকে হত্যা করা ওয়াজিব মতে করত। তারা আলী (রা.) কেও কেউ কেউ কাফির বলত। একই ভাবে মুসলিম নেতাদেরকে ও তাদের (খারিজীদের) বিরোধিতা কারীদেরকে কাফির বলেছে।
তাকফীর: তাকফীর অর্থ হলো কারো ব্যাপারে এই হুকুম সাব্যস্ত করা যে সে দীন থেকে বের হয়ে গেছে অথবা মুরতাদ হয়ে গেছে। শারঈ অকাট্য দলীল ব্যতিরেকে মুসলিম বলে পরিচিত কোন ব্যক্তিকে মুরতাদ বলা জায়েয নয়। প্রশ্নকারী যেমনটি উল্লেখ করেছেন যে তারা বলে ‘‘উচ্চ উলামা পরিষদ কাফির’’ তাদের এই কথা খুবই মারাত্মক। কেননা উচ্চ উলামা পরিষদই হক বর্ণনা করে। যদি কোন অভিযোগকারী হক বর্ণনা করার অপরাধে তাদের উপর অপবাদ দেয় অথবা তাদেরকে কাফির বলে তাহলে তার এই আচরণ বুঝায় না যে সে হকের উপর রয়েছে। বরং এর দ্বারা সে নিজের উপরই যুলুম করে। তাকে গ্রেফতার করে শাসকদের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অতীতে শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে বায ও শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে উছাইমিন (রহ.) তা‘আলা গণের সময়ে এ মাসআলাগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। সে সময় এ মাসআলাগুলো বারবার উত্থাপিত হয়েছে। আমরা ভয় পাচ্ছি, আল্লাহ না করুন, যদি এই তাকফীরী ধারা অব্যাহত থাকে এবং খারিজীরা ও তাদের আকীদা মতবাদ জনগণের মাঝে অবশিষ্ট থাকে তাহলে তো তাদেরকে সতর্ক না করা হলে তাদের মাঝে খারিজীদের ভ্রষ্ট অভ্যাস-আচরণ থেকেই যাবে। অথচ তারা তা বুঝতেই পারবে না। সুতরাং আমাদের সবার উপর ওয়াজিব হলো হক বর্ণনা করা, জনগণকে হক গ্রহণ করার জন্য উপদেশ প্রদান করা এবং নাবীগণের ওয়ারিছ আলিমদের সমালোচনা করা থেকে নিজের জিহবাকে সংযত রাখা। (আল-ফাতাওয়া আল-মুহিম্মাহ ফি তাবছীরিল উম্মাহ)।
[2]. ইমাম বুখারী (রহ.) সহীহ বুখারীর ৫৭৫৩ নং তে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ করেছেন যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
أيما رجل قال لأخيه يا كافر فقد باء بها أحدهما
‘‘যদি কেউ তার ভাইকে হে কাফির, বলে তাহলে তাদের দুজনের যে কোন একজন সেই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে। সহীহ বুখারী হাদীছ নং ৫৭৫৩।
[3]. মুসলিম ব্যক্তির কর্তব্য হলো জীবন দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানে বান্দার মর্যাদা বুলন্দকারী শারঈ ইলম অর্জনের প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। (সূরা আল মুজাদালাহ আয়াত নং ১১)
ইমাম মুসলিম (রহ.) সহীহ মুসলিমে উল্লেখ করেন, আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের পথে বের হয় আল্লাহ তা‘আলা তার জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সহজ করে দেন। ইলম আলিমকে শরী‘আতের বিরোধিতা, প্রবৃত্তির অনুসরণ এবং শয়ত্বানের পথ সমূহ থেকে রক্ষা করে।
ইবনুল কসিম (রহ.) বলেন, আমি ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাকে বলতে শুনেছি ‘‘ নিশ্চয়ই অনেক সম্প্রদায় ইলম বিনষ্ট করে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করে এবং তরবারীর দ্বারা উম্মাতে মুহাম্মাদী থেকে বের হয়ে যায়। যদি তারা ইলম অর্জনে মনোনিবেশ করত তাহলে ইলম তাদেরকে (এই পদস্খলন থেকে) রক্ষা করত।
ইমাম ওহাব (রহ.) বলেন, ‘ ইমাম মালিক (রহ.) এর নিকট অবস্থান রত অবস্থায় আমি নফল সালাতে দাঁড়ালে তিনি বললেন ‘‘তুমি যে কাজে লিপ্ত হলে তার থেকে যে কাজ পরিত্যাগ করলে (অর্থাৎ ইলম অর্জন) তা ই উত্তম। (মিফতাহু দারিস সা‘আদাহ খ. ০১ পৃ. ১১৯-১২০)
মু‘আয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন তোমাদের উপর করণীয় হলো ইলম অর্জন করা। কেননা ইলম অন্বেষণ করা ইবাদত। ইলম শিক্ষা লাভ করা উত্তম আমল। ইলমের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের উপর ব্যয় করা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। যে ব্যক্তি ইলম জানে না তাকে ইলম শেখানো ছাদাকাহর অন্তর্ভুক্ত। ইলম নিয়ে গবেষণা করা সংগ্রাম সমতুল্য। ইলম নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা তাসবীহ (আল্লাহর গুণকীর্তন করা) সমতুল্য। (আদ-দায়লামী ২/৪১; ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়া ৪/৪২)।
[4]. সহীহ বুখারী হা/১০০।
[5]. আস সুন্নাহ বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী তাদের এক ব্যক্তি তার ‘আম্মা বা‘দু আল ওয়াজহুল আওয়াল’ শিরোনাম যুক্ত ক্যাসেটে বলেন, কোথা থেকে শুরু করব? কীভাবে শুরু করব? হে আমার রক্ত, আমাকে সাহায্য করো। হে আমার প্রাণ, তুমি আমার পক্ষে দাঁড়াও। হে রক্ত, তুমি আমায় রক্ষা করো। এই হলো তাদের মূর্খতা ও বিশৃঙ্খলার অবস্থা। আপনি যদি বিলাদুল হারামাইন, সাউদী আরবের (আল্লাহ এদেশকে হিফাযত করুন) কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকেও জিজ্ঞাসা করেন যে তুমি কার নিকট প্রার্থনা করবে? কার নিকট দু‘আ করবে? বিপদ- আফাত ও মুছীবতের সময় কার নিকট সাহায্য-সহযোগিতা ও ত্রাণ কামনা করবে? ইত্যাদি। তাহলে সে নির্দ্বিধায় বলবে ‘আল্লাহর নিকট’।
আল্লাহু আকবার! আল্লাহর তাওহীদ, একত্ব সম্পর্কে জানা মানুষের কতই না প্রয়োজন।
এ লোকেরা যারা নিজেদেরকে নেতা, মুরুববী ও দাঈ হিসেবে পরিচয় দেয় তাদের কারণে এ প্রয়োজন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাওহীদ শেখার প্রতি কীভাবে তাদের মনোযোগ ফিরতে পারে। তাদের বাণী ও লেকচারগুলো তাওহীদকে অবজ্ঞা করে। তারা এ বিষয়টাকে খুব হালকা মনে করে এবং জনগণকে রাজনৈতিক কাজে লিপ্ত করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন ২৯ নং প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট টীকায়।