মানহাজ (আল-আজবিবাতুল মুফীদাহ) নিত্য নতুন মানহাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উপকারী জবাব শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান
প্রশ্ন-৫৯ : বিদাতী, বিধ্বংসী চেতনালালনকারী ও ভ্রান্ত ‘আক্বীদায় বিশ্বাসী লোকদের সাথে যুবকেরা কীভাবে কাজ করতে পারে?

উত্তর : যুবকেরা বিদাতী, ভ্রান্ত আকীদা ও বিধ্বংসী চেতনার লোকদের থেকে এবং তাদের বই-পুস্তক থেকে নিরাপদ দূরতেব অবস্থান করবে। তারা ‘ইলম ও নিরাপদ ‘আকীদা বিশিষ্ট লোকদের নিকট বসবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে।

বিদাতী ও বিধ্বংসী চিন্তা চেতনার লোকদের ব্যাপারে করণীয় হলো যুবকেরা তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। বিদাতী ও বিধ্বংসী মতবাদের লোকেরা যুবকদের অনিষ্ট সাধন করে। তারা তাদের মাঝে ভ্রান্ত আকীদা, বিদআত ও কুসংষ্কারের বীজ বপন করে। ছাত্রের মাঝে শিক্ষকের প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। ভ্রষ্ট শিক্ষক যুবকদেরকে বিপথগামী করে। পক্ষান্তরে একজন সরল পথের অনুসারী শিক্ষক তার ছাত্র এবং যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। সুতরাং শিক্ষকদের প্রভাব অপরিসীম। আমাদেরকে এসকল বিষয়কে উপেক্ষা করা উচিত হবে না।[1]


[1]. আল্লাহ তা‘আলা আমাদের শায়খকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। বিদাতীদের সাথে মুসলিম যুবকদের আচরণবিধি বিষয়ক মানহাজ বর্ণনা করেছেন, তাহলো তাদের থেকে ও তাদের বই থেকে দূরে থাকা। যদি শায়খ বর্তমানের সমতাবাদী ও একদল দাঈর মত বলতেন যে, ‘আমরা তাদের ভালোটুকু গ্রহণ করব এবং মন্দটুকু প্রত্যাখ্যান করব’ তাহলে যুবসমাজ বিভ্রান্ত হতো, সালাফী মানহাজ বিনষ্ট হতো ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকীদা কলুষিত হতো। সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি প্রতি যুগে প্রত্যেক দেশে সালাফী মানহাজে অটল এমন কিছু ব্যক্তি রাখেন, যারা এর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে, এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা না করে এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জাতির সামনে উপস্থাপন করে। বিস্তারিত দেখুন প্রশ্ন নং ১৯