লগইন করুন
উত্তর : পত্রিকা, ম্যাগাজিন জমা করে জনসমাবেশে পাঠ করা যাবে না। বরং পত্রিকা একত্রিত করে আলিম, বিদ্বান ও আহলুল হাল্লি ওয়াল আকবদ এর সাথে পর্যালোচনার জন্য তাদের সামনে পাঠ করতে হবে।
আর পত্রিকা মাসজিদে নিয়ে সমালোচনা করাতে মূলতঃ পত্রিকার খবরের প্রচারণাই করা হয়ে থাকে।[1] অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কখনো কখনো এর দ্বারা মন্দ কাজের প্রবর্তককে খুশি করানো হয়ে থাকে। কেননা কিছু লোক খুশি হয় একারণে যে মানুষ তা নিয়ে আলোচনা করছে ও ছড়িয়ে দিচ্ছে। কখনো কখনো তাদের মাঝে কিছু ঐ সকল মুনাফিক ঢুকে পড়ে যারা মন্দ-অনিষ্টকর বিষয়ের প্রচার-প্রসার চায়।
এ কাজটি খুবই মারাত্মক এবং এটা কোনো সমাধানের পথ নয়। না, আল্লাহর কসম! এটা কোনো সমাধানের পথ নয়।
যে ব্যক্তি সাধারণ মুসলিম ও মুসলিমদের নেতার কল্যাণ কামনা করবে সে কখনো এ পথ অনুসরণ করবে না। এটা মূলতঃ ভুল-ভ্রান্তিকে মাসজিদে একত্রিত করে প্রচার-প্রসার করা, এ কাজ ভ্রান্ত পথে টানে। যতদিন পর্যন্ত এ কাজ এভাবে করা হবে তা বাড়াবাড়িই করা হবে। সুতরাং যে চায় সে এভাবে করতে থাক।
অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা এসকল বিষয়াদি সম্পর্কে জানতই না অথচ তুমি তাদের সামনে ভ্রান্তির পথ উম্মোচন করছ, তারা যে মন্দ বিষয়ে অমনোযোগী ছিল তুমি প্রকাশ্যভাবে তাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছ।
[1]. আমরা ভুলে যাব না যে, মাসজিদে ছবি আনয়নের দ্বারা মাসজিদের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করা হয়। সাউদী আরবের সাবিক প্রধান মুফতী মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম (রহ.) বলেন, ছবি ব্যবহারের হুকুম: এ বিষয়ে ফাক্বীহগণ স্পষ্টভাবে বলেন: সকল প্রাণীর ছবি উঠানো, ব্যবহার করা হারাম; চাই তা মসজিদে হোক বা বাহিরে হোক। নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকটে মর্যাদাসম্পন্ন বিষয়কে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং আল্লাহর ঘরে ছবি নিয়ে যাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক অপরাধ। আর সালাতরত অবস্থায় ব্যাবহার করা বা বহন করা খুবই দুঃসাহসিক কাজ। আল্লাহর আশ্রয় কামনা করি (মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আলিশ শায়খ, ফাতওয়া ও রাসাঈল খণ্ড ০১ পৃষ্ঠা নং ১৯৩)।