লগইন করুন
(১) যৌক্তিক কারণে মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও সালাত আদায় করলে সেখানেও আযান এবং ইকামত দেবে। আর সংখ্যায় মাত্র একজন হলে আযান ওয়াজিব না হলেও সুন্নাত।
(২) সফরে থাকলেও আযান-ইকামাত দেওয়া সুন্নাত (বুখারী)। সাহাবাগণ মাঠে-ময়দানে থাকলেও আযান দিয়ে নামায পড়তেন।
(৩) যখন কোন ব্যক্তি গাছ-পালা ও পানিবিহীন কোন প্রান্তরে থাকে, আর সে সময় সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায় তখন সে যেন ওযু করে। আর পানি না পেলে যেন তায়াম্মুম করে। অতঃপর সে যদি শুধু ইকামাত দিয়ে সালাত আদায় করে তাহলে তার সাথে তার সঙ্গী দুই ফেরেশতা সালাত আদায় করে। আর যদি লোকটি আযানও দেয় এবং পরে ইকামাত দিয়ে সালাত আদায় করে তাহলে তার পিছনে এতো (অধিক) সংখ্যক ফেরেশতা সালাত আদায় করে যাদের দুই প্রান্তের শেষাংশ নযরে আসে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ২৪১)
সুবহানাল্লাহ! আযান ও ইকামতের মধ্যে আল্লাহ তাআলা কত বড় পুরস্কার রেখেছেন।
(৪) জামাআতে বা একাকী উভয় অবস্থায় আযান ও ইকামাত দেওয়া সুন্নাত।
(৫) আযানের সময় পার হয়ে গেলেও সালাতের সময় থাকলে আযান দেওয়া আবশ্যক।
(৬) তাহাজ্জুদ এবং সাহরীর জন্যও আযান দেওয়া বৈধ। বেলাল (রা) ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগেই আযান দিতেন (বুখারী)। এ হাদীসের অনুকরণে মক্কায় কাবা ঘরে ও মসজিদে নববীতে বারো মাসই তাহাজ্জুদের আযান হয়।
(৭) ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে পুত্র ও কন্যা উভয় শিশুর জন্য আযান দেওয়া সুন্নাত।