লগইন করুন
সৌদি আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের খ্যাতনামা আলেম ড. সালেহ বিন ফাউযান আল ফাউযান রচিত নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত গ্রন্থে বর্ণিত সালফে সালেহীনদের কয়েকটি ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো:
(১) সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব (র) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তার ফজরের নামাযের কোন দিন জামাআত ছুটেনি।
(২) ওয়াকী ইবনে জাররাহ বলেন, আমাদের বয়স যখন প্রায় সত্তর বছর, তখনও তার সালাতে কখনো তাকবীরে উলা’ ছুটেনি। তাকবীরে উলা’ হলো জামাআতে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেব ‘প্রথম যে তাকবীরটি’ দেয়।
(৩) আলী ইবনে হুসাইন বিন যাইনুল আবেদীন যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তার শরীরে কম্পন শুরু হয়ে যেত। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তোমরা কি জান না যে, আমি কার সম্মুখে দণ্ডায়মান হই? এবং কার সাথে কথােপকথন করি? আরেকবার তাঁর নামাযে সিজদারত অবস্থায় তার বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল। এমন সময় সিজদা থেকে মাথা উঠালেন যখন আগুন নিভে গিয়েছিল। বিষয়টি তাকে বলা হলে তিনি বলেন, আরেকটি আগুন আমাকে এ আগুন থেকে বিমুখ করে রেখেছিল।
(৪) মুসলিম ইবনে ইয়াসার আল-বাসারী যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন মনে হতো এক খণ্ড কাঠ দাঁড়ানো আছে। সামান্যতম কোন নড়াচড়া ছিল না। নামায শুরুর সময় তার পরিবারের লোকদেরকে বলতেন তোমরা তোমাদের কথাবার্তা বল। আমি এখন তোমাদের কথা শুনি। কেননা, নামাযে তিনি তখন আল্লাহর সাথে কথাবার্তায় মগ্ন।
(৫) আমাশ বলেন, ‘ইবরাহীম আত্-তাইমী যখন সিজদা করতেন তখন মনে হতো তিনি যেন একটা দেয়ালের অংশ। এ অবস্থায় চড়ুইপাখি তার পিঠে এসে বসে যেতো।
(৬) ইয়াকুব ইবনে ইয়াজীদ বাসরীর নামাযরত অবস্থায় একবার তার কাঁধ থেকে চাদর চুরি হয়ে যায় এবং পরে আবার তাকে তা ফেরতও দেওয়া হয়। কিন্তু নামাযে গভীর মনোযোগ থাকার কারণে তিনি তা টের করতে পারেননি।
(৭) মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন নাসের মারওয়াবীকে তার নামাযরত অবস্থায় দেখেছি, তার কানে মাছি বসেছে, আর রক্ত বয়ে যাচ্ছে। তবুও তিনি মাছি সরাতেন না। এমন খুশূ-খুযূ ও মনোযোগ ছিল তাদের নামাযে। সুবহানাল্লাহ!