লগইন করুন
এ সম্পর্কে একদল আলেমের অভিমত হলো হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়েয হবে না। তাদের দলীল হলো নিম্নবর্ণিত হাদীস:
“হায়েযওয়ালী নারী ও নাপাক ব্যক্তি (হায়েয ও নাপাক অবস্থায়) কুরআন থেকে কিছুই পড়বে না। (তিরমিযী: ১৩১, হাদীসটি দুর্বল) অপর একদল আলেমের মতে, মুখস্থ হলে হায়েয অবস্থায়ও কুরআন পড়া জায়েয আছে। তাদের দলীল হলো আয়েশা (রা)-এর একটি হাদীস। রাসূলুল্লাহ (স)-এর সাথে হজ্জ পালন করার সময় মা আয়েশা (রা)-এর হায়েয শুরু হয়ে গেল এবং এতে তিনি কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর নবী (স) তাঁকে বললেন,
“হাজীরা যা যা করে তা সবই তুমি করে যাও; পবিত্র হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শুধু কাবাঘর তাওয়াফ করো না।” (বুখারী: ৩০৫, ইফা: ২৯৯)।
এ দু'টো মতের মধ্যে একদল উলামা দ্বিতীয় মতটিকে বেশি শুদ্ধ মনে করেন অর্থাৎ হায়েয পিরিয়ডে কুরআন না ছুঁয়ে মুখস্থ পড়তে পারবে। তাদের যুক্তি ২টা প্রথমত, কুরআন তিলাওয়াত হজ্জের একটি উত্তম কাজ। এটাকে খাছ করে যেহেতু নিষেধ করেননি, সেহেতু এটা বৈধতার প্রমাণ করে। দ্বিতীয়ত, কুরআন না পড়ার হাদীসটি দুর্বল। আর দুর্বল হাদীস দ্বারা দলীল দেওয়া যায় না। তাছাড়া কুরআন ক্লাসের এমন অনেক শিক্ষিকা বা ছাত্রী আছে, যাদের এ অবস্থায় পরীক্ষা থাকতে পারে। আর এটা এমন এক নাপাকি যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নয়। ইচ্ছা করলেই গোসল করে পবিত্র হতে পারবে না। এসব উযর ও সার্বিক বিশ্লেষণে অনেক বিজ্ঞ ফকীহ প্রয়োজনে হায়েয অবস্থায় কুরআন শরীফ না ধরে মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারাকে জায়েয মনে করেন। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।