লগইন করুন
কুফরে আসগর (ছোট কুফরী) যা তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বহিষ্কার করে না। যেমনঃ
১। আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করা। এর দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী, তিনি মূসা আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের মু'মিনগণকে সম্বোধন করে বলেন,
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ
অর্থাৎ, স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন, 'তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অধিক দান করব এবং কৃতঘ্ন হলে নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠোর। (সূরা ইবরাহীম ৭ আয়াত)
২। কুফরে আমালী (কর্মগত কুফরী)। আর তা হল প্রত্যেক সেই পাপকর্ম ও অবাধ্যাচরণ যাকে শরীয়ত কুফর বলে অভিহিত করেছে অথচ তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ঈমানের নামও অবশিষ্ট রেখেছে। যেমন নবী (সা.) এর উক্তি, “মুসলিমকে গালি-মন্দ করা ফাসেকী এবং তার সহিত যুদ্ধ করা কুফরী।” (বুখারী)।
তিনি আরো বলেন, “ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে তখন সে মুমিন থেকে ব্যভিচার করে না এবং মদ্যপায়ী যখন মদ্যপান করে তখন সে মুমিন থেকে মদ্যপান করে না।” সুতরাং এই কুফরী তার সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে ইসলাম হতে খারিজ করে দেয় না। পক্ষান্তরে ‘কুফরে ই'তিকাদী’ (বিশ্বাসগত কুফরী) তা করে।
৩। আল্লাহর বিধানকে স্বীকার করে (কোন চাপে পড়ে) আল্লাহর অবতীর্ণকৃত বিধান ছাড়া অন্য বিধান অনুসারে বিচার বা দেশ-শাসন করা।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, মানুষের রচিত বিধানানুসারে বিচারকর্তা অথবা শাসনকর্তা যদি আল্লাহর বিধানকে স্বীকার করে তবে সে যালেম (সীমালংঘনকারী) ফাসেক, (কাফের নয়)। ইবনে জারীর এই অভিমতকেই গ্রহণ করেছেন। আর আতা’ বলেন, '(এরূপ করা) ঐ কুফরের চেয়ে ছোট কুফর।