লগইন করুন
অবৈধ ও নিষিদ্ধ অসীলা তাই, যার কোন মূলভিত্তি দ্বীনে নেই। এই অবৈধ অসীলাও কয়েক প্রকারঃ
১। মৃত মানুষদের অসীলা। তাদের নিকট প্রয়োজন ভিক্ষা বা সাহায্য প্রার্থনা করা যেমন বর্তমান যুগের পরিস্থিতি। লোকে একে অসীলা মানা বলে থাকে, অথচ বাস্তব প্রেক্ষাপট তা নয়। যেহেতু অসীলা গ্রহণ হল বিধেয় মাধ্যম। যেমন ঈমান, নেক আমল এবং আল্লাহর সুন্দর ও পবিত্রতম নামাবলীর অসীলায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা। কিন্তু মৃতদেরকে ডাকা তো আল্লাহ থেকে বিমুখতা প্রকাশ করা; যা শির্কে আকবরের পর্যায়ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَدْعُ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ ۖ فَإِن فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِّنَ الظَّالِمِينَ
অর্থাৎ, আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে আহবান করো না যে তোমার উপকার করতে পারে না এবং অপকারও করতে পারে না। যদি তা কর তাহলে তুমি সীমালংঘনকারী (মুশরিক)দের দলভুক্ত হবে। (সূরা ইউনুস ১০৬ আয়াত)
২। রসূলের মর্যাদার অসীলাঃ যেমন, হে প্রভু! মুহাম্মাদের মর্যাদার অসীলায় আমাকে আরোগ্য দান কর--' বলা বিদআত। কারণ সাহাবাগণ এমনটি করে যাননি। পক্ষান্তরে খলীফা উমর ও বৃষ্টি প্রার্থনার সময় আব্বাস (রাঃ)-এর জীবিতকালে তার দুআর অসীলা গ্রহণ করেছিলেন; কিন্তু তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি পরলোকগত রসূল (সা.)-কে অসীলা করে দুআ করেন নি।
প্রকাশ থাকে যে, “আমার মর্যাদার অসীলায় প্রার্থনা কর।” হাদীসটি ভিত্তিহীন;* যেমন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ একথা উল্লেখ করেছেন।
পরন্তু এই বিদআতী অসীলা শির্কের পর্যায়েও পড়তে পারে। যেমন যদি বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ আমীর ও রাজাদের মত মাধ্যম ও মধ্যস্থতার মুখাপেক্ষী তবে তা শির্ক। কেন না এতে সে স্রষ্টাকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করে বসে!
আবু হানীফা বলেন, গায়রুল্লাহর অসীলায় আল্লাহর নিকট চাওয়াকে আমি ঘৃণ্য আচরণ মনে করি।” (আদ-দুরুল মুখতার)
৩। রসূলের পরলোকগমনের পর তার নিকট দুআর আবেদন করা -যেমন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্য দুআ করুন। এই বলা বৈধ নয়। কারণ সাহাবাগণ এরূপ করে যাননি। আবার যেহেতু রসূল ঐ বলেন, “মানুষ মারা গেলে তিনটি বিষয় ব্যতীত তার সকল আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; প্রবাহমান সদকা (ইষ্টাপূর্ত কর্ম) ফলপ্রসূ ইলম এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দুআ করে।” (মুসলিম)