লগইন করুন
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا
‘যে ঈমানদারগণ! যখন কোনো বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও তখন সুদৃঢ় থাকো।'[১]
আরও বলা হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوهُمُ الْأَدْبَارَ * وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَاءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللَّهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন কাফিরদের মুখোমুখি হবে তখন আর পেছন ফিরে আসবে না। অবশ্য লড়াইয়ের কৌশল হিসেবে কিংবা নিজ সৈন্যদের সাথে মিলিত হতে চাইলে ভিন্ন কথা। যদি কেউ পেছন ফিরে আসে সে যেন আল্লাহর গযব নিয়ে এলো। তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আবাসস্থল হিসেবে তা খুবই নিকৃষ্ট।[২]
আরেক জায়গায় বলা হয়েছে,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ ۚ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ ۚ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّائَةٌ يَغْلِبُوا أَلْفًا
“হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে জিহাদের জন্য উৎসাহিত করুন। (বলুন) তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন দৃঢ় ব্যক্তি থাকে তাহলে দু'শ' জনের মুকাবেলায় বিজয় দান করা হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে একশ' জন থাকে তাহলে বিজয়ী হবে হাজার জনের উপর।[৩]
সহীহ আল বুখারীতে আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
لا تتمنوا لقاء العدو وسلوا الله العافية فإذا لقيتموهم فاصبروا واعلموا أن الجنة تحت ظلال السيوف
‘তোমরা শত্রুর মুখখামুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না। বরং আল্লাহর কাছে সর্বদা নিরাপত্তা চাবে। শত্রুর মুখখামুখি যখন হয়েই যাও তখন ধৈর্য ধারণ করবে। মনে রাখবে জান্নাত তরবারীর ছায়াতলে।[৪]
[২]. সূরা আল আনফাল, আয়াত : ১৫, ১৬।
[৩]. সূরা আল আনফাল, আয়াত : ৬৫।
[৪]. সহীহ্ আল বুখারী, জিহাদ অধ্যায়, জিহাদের ফযীলত’ শিরোনাম।