লগইন করুন
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা ঈমানেরই অংশ। কেননা আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা নিজেই বলেছেন,
وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ
তাঁকে (অর্থাৎ রাসূল (সা.)-কে) সম্মান ও মর্যাদা দিন এবং সহযোগিতা করুন।[১]
অন্য জায়গায় বলা হয়েছে,
فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنزِلَ مَعَهُ ۙ أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
যারা ঈমান আনবে, তাঁর (অর্থাৎ রাসূলের) প্রতি শ্রদ্ধা রাখবে এবং তাঁর সাহায্য সহযোগিতা করবে ... তারাই কল্যাণ লাভ করবে।'[২]
রাসূল (সা.)-কে সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারে আলাদা মাত্রা রয়েছে যা আর কারও বেলায়ই প্রযোজ্য নয়। ইরশাদ হচ্ছে,
لَّا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا
‘তোমরা রাসূলকে নিজেদের মধ্যে ডেকে আনাকে এরূপ মনে করো না, যেরূপ তোমরা একে অপরকে ডেকে আনো[৩]
অর্থাৎ এভাবে বলো না হে মুহাম্মদ কিংবা হে আবুল কাশেম, বরং ইয়া রাসূলাল্লাহ্ অথবা ইয়া নাবীআল্লাহ্ বলো। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সাথে বাড়াবাড়ি, উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলাও নিষেধ। সূরা হুজুরাতে বলা হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ * يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
“তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের চেয়ে বেশী অগ্রসর হয়ে যেও না... নিজেদের কণ্ঠস্বর নবীর কণ্ঠস্বরের চেয়ে উঁচু করো না, নবীর সাথে জোরে কথাও বলো না যেমন তোমরা পরস্পরের সাথে করে থাক। এরূপ করলে তোমাদের আমল নষ্ট হয়ে যাবে, তোমরা টেরও পাবে না।[৪]
(ইমাম বাইহাকী বলেন, আমি মনে করি এ স্তরটি ভালোবাসার স্তরের চেয়েও উঁচুতে। এটি হচ্ছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্মিলন। তবে তা পিতা, শিক্ষক ও গুরুজনের ভালোবাসার চেয়েও অনেক গভীর। সন্তান, বন্ধু-বান্ধবসহ অন্যদের ভালোবাসার মত তো নয়ই।
[২]. সূরা আল আরাফ, আয়াত : ১৫৭।
[৩]. সূরা আন নূর, আয়াত : ৬৩।
[৪]. সূরা আল হুজুরাত, আয়াত : ১, ২।