লগইন করুন
হানাফী মাযহাব:
১. হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘দুররে মুখতারে’ (২য় খ. ৪৫৯ পৃ.) বলা হয়েছে: পুরুষের জন্য দাড়ি কর্তন করা হারাম। নিহায়া গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, দাড়ি এক মুষ্টির বেশি হলে তা কেটে ফেলা ওয়াজিব। কিন্তু এর চাইতে বেশি কর্তন করা যেমনটি পশ্চিমা দেশের লোকেরা এবং খোঁজা পুরুষেরা করে তা কেউ বৈধ বলেন নি। আর দাড়ি সম্পূর্ণটাই কেটে চেঁছে ফেলা হিন্দুস্থানের ইয়াহূদী ও কাফের–মুশরিকদের কাজ।”
২. হানাফী মাযহাবের মশহুর ফকীহ ইবনুল হুমাম বলেন “এক মুষ্টির ভিতর দাড়ি কর্তন করা কারো মতেই বৈধ নয়।”
৩. হানাফী মাযহাবের কিতাব ‘শারহে মানজুমাতুল আদাবের’ মধ্যে লিখেছেন, নির্ভরযোগ্য ফাতওয়া হলো দাড়ি মুণ্ডানো হারাম।
মালেকী মাযহাব:
১. মালেকী মাযহাব মতেও দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম। অনুরূপভাবে ছুরত বিগড়ে যাওয়া মত ছেটে ফেলাও হারাম।
২. মালেকী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ ইমাম আবুল আব্বাস কুরতুবী আল-মালেকী সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থ “আল–মুফহিম” এ লিখেন ‘দাড়ি মুণ্ডানো ও উপড়ানো কোনোটাই বৈধ নয়’।
৩. মালেকী মাযহাব মতে দাড়ি কাটা হারাম। (আল আদাভী আলা শারহে কিফায়াতুত্ তালেব রাব্বানী ৮ম খণ্ড, ৮৯ পৃ.)
শাফেঈ মাযহাব:
১. ইমাম শাফেঈ রহ. তার প্রখ্যাত গ্রন্থ “আল উম্ম” উল্লেখ করেছেন যে, দাড়ি কর্তন করা হারাম।
২. শাফেঈ মাযহাবের আলেম আযরা‘ঈ বলেন, সঠিক কথা হচ্ছে কোনো কারণ ছাড়া সম্পূর্ণ দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম।[1]
৩. শাফেঈ‘ মাযহাবের প্রখ্যাত আলেম ইবনুর রিফ‘আহ শাফিয়ী তার বিখ্যাত রচনা ‘আলকিফায়াতু ফি শারহিত তানবিয়াহ’তে লিখেন–ইমাম শাফেঈ রহ. তার “আল–উম্ম” পুস্তকে দাড়ি মুণ্ডনকে হারাম বলেছেন।”
হাম্বলী মাযহাব:
১. শাইখুল ইসলাম ‘আল্লামা ইবন তাইমিয়্যা রহ. বলেন, দাড়ি মুণ্ডানো বা শেভ করা হারাম।
২. ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের মাযহাবের ‘আলেমগণও দাড়ি শেভ করাকে হারাম বলেছেন। (আল-ইনসাফ, শরহে মুন্তাহাল ইরাদাত) অতএব দাড়ি মুণ্ডন করা কবীরা গুনাহ। এমন জঘন্য কাজ থেকে আজই তওবা করা আবশ্যক। ঐ মাযহাবের বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “শারহুল মুন্তাহা”তে উল্লেখ হয়েছে যে, ‘দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম’।৪. ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রহ. রচিত “কিতাবুয-যুহদে” ‘আকীল ইবন মোদরেক সুলামী থেকে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইসরাঈলের এক রাসূলের নিকট এই অহী প্রেরণ করেন যে, তিনি যেন নিজ কাওম বনী ইসরাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা‘আলার শত্রুদের বিশেষ খাদ্য শুকরের মাংস না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব (মদ) পান না করে এবং তাদের দাড়িকে স্টাইল করে কোনো সুরত বা আকৃতি না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের মাংস খায়, বা মদ পান করে অথবা দাড়ি মুণ্ডায় বা স্টাইল করে কাট-ছোট করে অথবা লম্বা লম্বা মোচ রাখে, তাহলে তারাও আমার শত্রু হবে। যেমন, তারা আমার শত্রু।[2]
>[2] দালায়েলুল আ-সার।