লগইন করুন
জাহান্নামীদের তুলনায় জান্নাতীদের সংখ্যা নেহাতই কম। দুনিয়ার মানুষের প্রতি লক্ষ্য করলেই সে সংখ্যা নগণ্য হওয়ারই কথা। কাফেরদের মাঝে মুসলিমদের সংখ্যা কত? আবার মুসলিমদের মাঝে প্রকৃত মুসলিমদের সংখ্যা কত?
(কিয়ামতে ফিরিশ্তাদেরকে হুকুম করা হবে যে,) তোমরা ওদেরকে থামাও। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর বলা হবে, ওদের মধ্য থেকে জাহান্নামে প্রেরিতব্য দল বের করে নাও। জিজ্ঞাসা করা হবে, কত থেকে কত?’ বলা হবে, প্রতি হাজারে নয়শ’ নিরানব্বই জন। বস্তুতঃ এ দিনটি এত ভয়ংকর হবে যে, শিশুকে বৃদ্ধ বানিয়ে দেবে এবং এ দিনেই (মহান আল্লাহ নিজ) পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন। (মুসলিম)।
ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ জন মানুষ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমরা জান্নাতবাসীদের এক চতুর্থাংশ হবে? আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমরা কি জান্নাতবাসীদের এক তৃতীয়াংশ হতে পছন্দ কর? আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাঁর শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, জান্নাতবাসীদের অর্ধেক তোমরাই হবে। এটা এ জন্য যে, শুধুমাত্র মুসলিম প্রাণ ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমরা এরূপ, যেরূপ কালো বলদের গায়ে (একটি) সাদা লোম অথবা লাল বলদের গায়ে (একটি) কালো লোম। (বুখারী ও মুসলিম)।
এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, জান্নাতীদের ১২০ কাতার হবে, তার মধ্যে ৮০ কাতার মুহাম্মাদী উম্মাতের এবং বাকী ৪০ অন্যান্য উম্মতদের। (তিরমিযী, দারেমী, বাইহাকী) সুতরাং জান্নাতীদের দুই-তৃতীয়াংশ এই উম্মতের লোক হবে।
কেবল এই উম্মতের জান্নাতীর হার হবে তিয়াত্তরের একটি। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “ইয়াহুদী একাত্তর দলে এবং খ্রিষ্টান বাহাত্তর দলে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। আর এই উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকী সব ক’টি জাহান্নামে যাবে।” অতঃপর ঐ একটি দল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বললেন, “তারা হল জামাআত। যে জামাআত আমি ও আমার সাহাবা যে মতাদর্শের উপর আছি, তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” (সুনান আরবাআহ, মিশকাত ১৭১-১৭২, সিলসিলাহ সহীহাহ ২০৩, ১৪৯২নং)