লগইন করুন
জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ ব্যক্তি অথবা সর্বনিম্ন মানের জান্নাতীও কিন্তু ছোট জান্নাতের বা কম সুখের অধিকারী হবে না। এ ব্যাপারে মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “সর্বশেষে যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার সম্পর্কে অবশ্যই আমার জানা আছে। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে (বা বুকে ভর দিয়ে) চলে জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ আযযা অজাল্ল বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। সুতরাং সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! জান্নাত তো পরিপূর্ণ দেখলাম। আল্লাহ আযযা অজাল্ল বলবেন, 'যাও, জান্নাতে প্রবেশ কর। তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত তো ভরে গেছে। তাই সে আবার ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! জান্নাত তো ভরতি দেখলাম। তখন আল্লাহ আযযা অজাল্ল বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। তোমার জন্য থাকল পৃথিবীর সমতুল্য এবং তার দশগুণ (পরিমাণ বিশাল জান্নাত)! অথবা তোমার জন্য পৃথিবীর দশগুণ (পরিমাণ বিশাল জান্নাত রইল)! তখন সে বলবে, হে প্রভু! তুমি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছ? অথবা আমার সাথে হাসি-মজাক করছ অথচ তুমি বাদশাহ (হাসি-ঠাট্টা তোমাকে শোভা দেয় না)।” বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এমনভাবে হাঁসতে দেখলাম যে, তাঁর চোয়ালের দাঁতগুলি প্রকাশিত হয়ে গেল। তিনি বললেন, “এ হল সর্বনিম্ন মানের জান্নাতী।” (বুখারী-মুসলিম)
এ জান্নাতী যখন জান্নাতের বাসস্থানে প্রবেশ করবে, তখন তার দু’টি হুরী স্ত্রী তার নিকট এসে বলবে, সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি তোমাকে আমাদের জন্য এবং আমাদেরকে তোমার জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। তখন সে বলবে, আমাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি। (মুসলিম)।