তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি ৪৮তম অধ্যায় - নেয়ামতের প্রাচুর্য মানুষকে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ হতে উৎসাহ দেয় (باب ما جاء في قول الله تعالى: وَلَئِنْ أَذَقْنَاهُ رَحْمَةً مِنَّا) শাইখ আব্দুর রাহমান বিন হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহঃ)
নেয়ামতের প্রাচুর্য মানুষকে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ হতে উৎসাহ দেয়

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَلَئِنْ أَذَقْنَاهُ رَحْمَةً مِنَّا مِنْ بَعْدِ ضَرَّاءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ هَذَا لِي وَمَا أَظُنُّ السَّاعَةَ قَائِمَةً وَلَئِنْ رُجِعْتُ إِلَى رَبِّي إِنَّ لِي عِنْدَهُ لَلْحُسْنَى فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِمَا عَمِلُوا وَلَنُذِيقَنَّهُمْ مِنْ عَذَابٍ غَلِيظٍ (50) وَإِذَا أَنْعَمْنَا عَلَى الْإِنْسَانِ أَعْرَضَ وَنَأَى بِجَانِبِهِ وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُو دُعَاءٍ عَرِيضٍ

‘‘কিন্তু কঠিন সময় কেটে যাওয়ার পর যখন আমি তাকে আমার রহমতের স্বাদ চাখাই, তখন সে বলতে থাকে, এটা তো আমার প্রাপ্য; আমি মনে করিনা যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। তবে সত্যিই যদি আমাকে আমার পালনকর্তার কাছে হাযির করা হয়, তবে অবশ্যই তার কাছে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে। অতএব আমি কাফেরদেরকে তাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবহিত করবো এবং তাদেরকে অবশ্যই আস্বাদন করাবো কঠিন শাস্তি। আমি যখন মানুষকে নেয়ামত দান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং গর্বিত হয়ে উঠে। আর যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সুদীর্ঘ দু’আ করতে শুরু করে’’। (সূরা ফুস্সিলাতঃ ৫০-৫১)

বিখ্যাত মুফাস্সির মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ এটা তো আমার প্রাপ্য এর অর্থ হচ্ছে আমার কর্ম ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটা অর্জন করেছি। আমিই এর হকদার।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ সে এ কথা বলতে চায় যে, নেয়ামত আমার আমলের কারণেই এসেছে। এটি আমার বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব এবং যোগ্যতার ফল।

ব্যাখ্যাঃ লেখক এখানে আয়াতের ব্যাখ্যায় আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং অন্যান্য মুফাসসির থেকে যে সমস্ত কথা বর্ণনা করেছেন, আয়াতের অর্থ বুঝতে তাই যথেষ্ট। বিখ্যাত মুফাসসির মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ এটা তো আমার প্রাপ্য এর অর্থ হচ্ছে আমার কর্ম ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটা অর্জন করেছি। আমিই এর হকদার। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ সে এ কথা বলতে চায় যে, নেয়ামত আমার আমলের কারণেই এসেছে। অর্থাৎ এটি আমার বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তি সত্তা এবং যোগ্যতার ফল।

আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي ‘‘সে বলে, নিশ্চয়ই এ নেয়ামত আমার জ্ঞানের জন্য আমাকে দেয়া হয়েছে’’। (সূরা কাসাসঃ৭৮)

কাতাদাহ (রঃ) বলেন উপার্জনের রকমারী পন্থা সম্পর্কিত জ্ঞান থাকার কারণেই আমি এ নেয়ামত প্রাপ্ত হয়েছি।

অন্যান্য মুফাস্সিরগণ বলেনঃ এই মাল আমি এ কারণেই প্রাপ্ত হয়েছি যে, আল্লাহ জানতেন, আমি এ মালের হকদার। মুজাহিদ বলেছেনঃ কারুন বলেছিল, আমার বংশগত মর্যাদার বদৌলতেই এ নেয়ামত প্রাপ্ত হয়েছি।

ব্যাখ্যাঃ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমদের পক্ষ হতে যে কয়টি কথা এসেছে, মূলত সবগুলোর তাৎপর্য একই। এগুলোতে কোনো বৈপরিত্য নেই। বিভিন্ন শব্দে একই অর্থ প্রকাশ করা হয়েছে।

আবু হুরাইয়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূল সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছেনঃ

«إِنَّ ثَلاَثَةً من بَنِى إِسْرَائِيلَ أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى فأراد الله أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الأَبْرَصَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ ويذهب عنّي الذي قَدْ قَذِرَنِى النَّاسُ به قَالَ فَمَسَحَهُ ، فَذَهَبَ عَنْهُ قذره فَأُعْطِىَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا فَقَالَ أَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الإِبِلُ أَوْ قَالَ الْبَقَرُ هُوَ شَكَّ إسحاق فَأُعْطِىَ نَاقَةً عُشَرَاءَ وقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا

قال فََأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّى الذي قذرني الناس به قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ وَأُعْطِىَ شَعَرًا حَسَنًا قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْبَقَرُ أو الإبلَ فَأَعْطي بَقَرَةً حَامِلاً وفقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا

قال فأَتَى الأَعْمَى فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ يَرُدُّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِى فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْغَنَمُ فَأَعْطِي شَاةً وَالِدًا فَأُنْتِجَ هَذَانِ وَوَلَّدَ هَذَا فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنْ إِبِلٍ وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ بَقَرٍ وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ

قال ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِى صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ تَقَطَّعَتْ بِىَ الْحِبَالُ فِى سَفَرِى فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِى أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ بِهِ فِى سَفَرِى . فَقَالَ الْحُقُوقَ كَثِيرَةٌ . فَقَالَ لَهُ كَأَنِّى أَعْرِفُكَ أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ المال فَقَالَ إنما وَرِثْتُ هذا المال كَابِرا عَنْ كَابِرٍ . فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ

قال وَأَتَى الأَقْرَعَ فِى صُورَتِهِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا ورَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هَذَا فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ

قال فَأَتَى الأَعْمَى فِى صُورَتِهِ وَهيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ قد انقَطَّعَتْ بِىَ الْحِبَالُ فِى سَفَرِى فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِى رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِى سَفَرِى فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ بَصَرِى وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِى فَخُذْ مَا شِئْتَ ودع ما شئت فَوَاللَّهِ لاَ أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ بِشَىْءٍ أَخَذْتَهُ لِلَّهِ . فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ ، فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ ، فَقَدْ رَضِىَ اللَّهُ عَنْكَ وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ»

‘‘বনী ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। যাদের একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, আরেকজনের ছিল মাথায় টাক, অপরজন ছিল অন্ধ। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। তখন তাদের কাছে তিনি একজন ফেরেশতা পাঠালেন।

সর্বপ্রথম কুষ্ঠরোগীর কাছে ফেরেশতা এসে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ কী? সে বললঃ সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া। আর যে রোগের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্তি আমার কাম্য। তখন ফেরেশতা তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে তার রোগ দূর হয়ে গেল তাকে সুন্দর রং আর সুন্দর চামড়া দেয়া হল। তারপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার প্রিয় সম্পদ কী? সে বলল, উট অথবা গরু। হাদীছ বর্ণনাকারী ইসহাক উট কিংবা গরু এ দু'য়ের মধ্যে সন্দেহ করেছেন। তখন তাকে একটি গর্ভবতী উট দেয়া হল। ফেরেশতা তার জন্য এই বলে দুআ করলেন, আল্লাহ এ সম্পদে তোমাকে বরকত দান করুন।

অতঃপর ফেরেশতা টাকওয়ালা লোকটির কাছে গিয়ে বললেনঃ তোমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ কী? লোকটি বলল, আমার প্রিয় জিনিষ হচ্ছে সুন্দর চুল। লোকজন আমাকে যে কারণে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্ত হতে চাই। ফেরেশতা তখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে করে তার মাথার টাক দূর হয়ে গেল। তাকে সুন্দর চুল দেয়া হল। অতঃপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন্ সম্পদ তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়? সে বললঃ উট অথবা গরু। তখন তাকে গর্ভবতী একটি গাভী দেয়া হল। ফেরেশতা তার জন্য এই বলে দুআ করলেন আল্লাহ এ সম্পদে তোমাকে বরকত দান করুন।

তারপর ফেরেশতা অন্ধ লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, তোমার কাছে সবচেয় প্রিয় সম্পদ কী? লোকটি বলল, আল্লাহ যেন আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। যার ফলে আমি লোকজনকে দেখতে পাবো। ফেরেশতা তখন তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে আল্লাহ তাআলা লোকটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। এবার ফেরেশতা তাকে বললেন, কী সম্পদ তোমার কাছে সব চেয়ে বেশী প্রিয়? সে বলল, ছাগল আমার বেশী প্রিয়। তখন তাকে একটি গর্ভবতী ছাগল দেয়া হল। আল্লাহর অনুগ্রহে উট ও গরু বংশ বৃদ্ধি করতে লাগল এবং ছাগলও বংশ বৃদ্ধি করতে লাগল। অবশেষে অবস্থা এ দাঁড়াল যে, একজনের উটে মাঠ ভরে গেল, আরেকজনের গরুতে মাঠ পূর্ণ হয়ে গেল এবং আরেকজনের ছাগলে মাঠ ভর্তি হয়ে গেল।

অতঃপর নির্দিষ্ট একটি সময় পার হওয়ার পর একদিন ফেরেশতা তার পূর্ব আকৃতিতেই কুষ্ঠ রোগীর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেনঃ আমি একজন মিসকীন। আমার পথের সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আমার গন্তব্য স্থলে পৌছার জন্য আল্লাহর সাহায্য অতঃপর আপনার সাহায্য দরকার। যে আল্লাহ আপনাকে এত সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া দান করেছেন, তাঁর নামে আমি আপনার কাছে একটা উট সাহায্য চাই, যাতে আমি নিজ দেশে পৌঁছতে পারি। তখন লোকটি বলল, দেখুনঃ আমার অনেক দায়-দায়িত্ব আছে, হকদার আছে। ফেরেশতা বললেনঃ আমার মনে হয়, আপনাকে চিনি। আপনি কি কুষ্ঠ রোগী ছিলেন না? মানুষ কি আপনাকে ঘৃণা করতোনা? আপনি খুব গরীব ছিলেন না? তারপর আল্লাহ আপনাকে এ সম্পদ দান করেছেন? তখন লোকটি বললঃ এ সম্পদ আমার পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। ফেরেশতা তখন বলল, তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকো তাহলে আল্লাহ যেন তোমাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।

তারপর ফেরেস্তা মাথায় টাকওয়ালা লোকটির কাছে গেলেন এবং ইতিপূর্বে কুষ্ঠরোগীর সাথে যে ধরনের কথা বলেছিলেন টাকওয়ালা লোকটির সাথেও অনুরূপ কথা বললেন। উত্তরে কুষ্ঠরোগী যে জবাব দিয়েছিল, এ লোকটিও একই জবাব দিল। ফেরেশতাও আগের মতই বললেনঃ যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তাহলে আল্লাহ তাআলা যেন তোমাকে তোমার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।

অতঃপর ফেরেশতা একই আকৃতিতে অন্ধ লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, আমি এক গরীব মুসাফির। আমার পথের সম্বল নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমি আল্লাহর সাহায্য অতঃপর আপনার সাহায্য কামনা করছি। যিনি আপনার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে একটি ছাগল আপনার কাছে সাহায্য চাই, যাতে আমার সফরে নিজ গন্তব্যস্থানে পৌছতে পারি। লোকটি তখন বললঃ আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ তাআলা আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনার যা খুশি নিয়ে যান। আর যা খুশি রেখে যান। আল্লাহর কসম, আল্লাহর নামে আপনি আজ যা নিয়ে যাবেন, তাতে আমি মোটেই বাধা দেবোনা। তখন ফেরেশতা বললেনঃ আপনার মাল আপনি রাখুন। আপনাদেরকে শুধুমাত্র পরীক্ষা করা হল মাত্র। আপনার আচরণে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আপনার সঙ্গীদ্বয়ের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন’’।[1] এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১) সূরা ফুসসিলাতের ৫০ ও ৫১ নং আয়াতের তাফসীর জানা গেল।

২) لَيَقُولَنَّ هَذَا لِي এর তাৎপর্য জানা গেল।

৩) أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي এর মর্মার্থও জানা গেল।

৪) এই আশ্চর্য ধরনের কিসসা হতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় জানা গেল।

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ বনী ইসরাঈলের খবর থেকে যা বর্ণিত হয়েছে।