লগইন করুন
ওয়াহাব বিন মুনাবিবহ (রঃ) বলেনঃ দয়াময় আল্লাহ তাআলা তখন বলবেনঃ
«أنَا السَّلامُ ومَنِّىَ السَّلامُ وعَلَيْكُمْ حَقَّتْ رَحْمَتِيْ وَمَحَبَّتِيْ مَرْحَبًا بِعِبَادِيَ الَّذِيْنَ خَشُوْنِيْ بِغَيْبٍ وَأَطَاعُوْا أَمْرِيْ»
‘‘আমি শান্তিময় এবং শান্তি আমার তরফ থেকেই হয়। তোমাদের জন্য আমার রহমত ও মুহাববত আবশ্যক হয়ে গেছে। আমি আমার ঐসব বান্দাকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি, যারা না দেখেই আমাকে ভয় করেছে এবং আমার আদেশ মান্য করেছে।
ওয়াহাব বলেনঃ তখন জান্নাতী লোকেরা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার যথাযথ এবাদত করতে পারিনি এবং তোমার যথাযথ সম্মান করতে পারিনি। আমাদেরকে তোমার সামনে সিজদাহ করার অনুমতি দাও।
আল্লাহ তাআলা তখন বলবেনঃ এটি এবাদতের স্থান নয়, পরিশ্রমেরও জায়গা নয়। এটি হচ্ছে চিরস্থায়ী বসবাস এবং ভোগবিলাসের স্থান। আমি তোমাদের উপর হতে এবাদতের কষ্ট চিরতরে উঠিয়ে দিয়েছি। এখন তোমাদের মন যা চায়, তা চাও। তোমাদের প্রত্যেকের মনোবাসনা পূর্ণ করা হবে। তখন তারা আল্লাহর কাছে চাইবে। তাদের মধ্যে সর্বাধিক কম যে চাইবে, সে বলবেঃ হে আমার রবব! দুনিয়া পূজারীরা দুনিয়ার নেয়ামত ও সম্পদ হাসিলের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল এবং তাদের একজন অন্যজনকে কোণঠাসা করেছিল। হে আমার রবব! তুমি যেদিন দুনিয়া সৃষ্টি করেছ সেদিন থেকে শুরু করে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত তারা যে সমস্ত নেয়ামতের মধ্যে ছিল, তার প্রত্যেকটির অনুরূপ আমাকে দান কর।
আল্লাহ তখন বলবেনঃ আজ তোমার চাওয়া খুব কম হয়ে গেছে এবং তোমার প্রাপ্যের চেয়ে অনেক কমই প্রার্থনা করেছ। তোমার জন্য আমার তরফ থেকে এ সবই রয়েছে। তবে আমার মর্যাদা ও বড়ত্ব অনুপাতেই তোমাকে বড় পুরস্কার দান করব। কেননা আমার দানের মধ্যে কোন কৃপণতা ও কমতি নেই।
ওয়াহাব বলেনঃ অতঃপর আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে বলবেনঃ আমার বান্দাদের সামনে ঐ সব বিষয় পেশ কর, যার আকাঙ্খা তারা প্রকাশ করেনি এবং যা তাদের অন্তরে উদয় হয়নি।
ওয়াহাব বলেনঃ ফেরেশতারা ঐসব বিষয় তাদের জন্য পেশ করবেন। তারা জান্নাতীদের মনের সকল আশাই পূরা করবেন। ফেরেশতাগণ যেসব জিনিষ জান্নাতীদের সামনে পেশ করবেন, তার মধ্যে লাগাম পরিহিত অনেক ঘোড়াও থাকবে। সেগুলোর প্রতি চারটির উপর একটি করে ইয়াকুত পাথরের একটি খাঁট থাকবে, প্রত্যেক খাঁটের উপর একটি করে স্বর্ণের তাঁবু থাকবে, প্রত্যেক তাঁবুর মধেই জান্নাতের বিছানাসমূহ থেকে একটি বিছানা থাকবে, প্রত্যেক তাঁবুর মধ্যেই দু’টি করে জান্নাতের বড় বড় চুক্ষবিশিষ্ট হুর থেকে দু’জন হুর (অপরূপ সুন্দরী কুমারী স্ত্রী) থাকবে, তাদের প্রত্যেকের পরনে জান্নাতের পোষাকসমূহ থেকে দু’টি করে পোষাক থাকবে, জান্নাতে যত রং আছে তার সবগুলো রং-ই সেই কাপড়ে থাকবে এবং জান্নাতে যত খোশবু আছে তার সবগুলোই তাতে মাখানো থাকবে। তাদের চেহারার জ্যোতি তাঁবুর মোটা দেয়াল ভেদ করে বাইরে চলে আসবে। যে কেউ তাদের দু’জনকে দেখবে, সে মনে করবে তারা তাঁবুর বাইরেই অবস্থান করছে। তাদের শরীরের হাড্ডীর ভিতরের মগজ বাহির থেকে ঠিক সে রকমই দেখা যাবে, যেমন লাল রংএর ইয়াকুত পাথরের মধ্যে সাদা রংএর সুতা দেখা যায়। তারা দু’জন তাদের জান্নাতী স্বামীকে তার সাথীদের মধ্যে এত মর্যাদাবান মনে করবে যেমন সূর্যের মর্যাদা পাথরের উপর কিংবা এর চেয়ে আরো উত্তম। জান্নাতী পুরুষটি তার দু’জন হুরকেও অনুরূপ মনে করবে।
অতঃপর উক্ত জান্নাতী লোকটি তাঁর হুরদের কাছে প্রবেশ করবে। তারা দু’জনেই তাঁকে সাল্লাম করবে, চুম্বন করবে এবং গলাগলি করবে। হুরেরা তাঁকে বলবেঃ আমরা ধারণা করতাম না যে তোমার মত মানুষ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করবেন।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে হুকুম করবেন, তারা যেন সকলকে একই কাতারে সারিবদ্ধ করে জান্নাতে নিয়ে যান। পরিশেষে তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ মঞ্জিলে পৌঁছে যাবে, যা তার জন্য প্রস্ত্তত করে রাখা হয়েছে।
أَشْعَثَ শব্দটি মাজরুর। জারের আলামত হচ্ছে ফাতাহ (যবর)। কেননা এটি غير منصرف। এতে রয়েছে منع الصرف এর দু’টি সবাব (কারণ)। একটি ওসফ্ আর অন্যটি ওযনে ফেল।
رأسُهُ শব্দটি فاعل হিসাবে মারফু হয়েছে। তার মাথার চুলগুলো এলোমেলো। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারণে সে তেল ব্যবহার করে মাথার চুল নরম করতে পারেনা এবং চিরুনী ব্যবহার করে তা ভাজও করতে পারেনা।
مغبرة قدماه এখানে مغبرة শব্দটি মাজরুর। তাতে কাসরাহ হচ্ছে জেরের আলামত। এটি عبد এর দ্বিতীয় সিফাত।
إِنْ كَانَ فِي الْحِرَاسَةِ তাকে সেনাবাহিনীর পাহারায় নিয়োজিত করা হলেঃ অর্থাৎ সে তার কাজে কোনো গাফিলতি করেনা। তাকে যদি সেনাবাহিনীকে শত্রুদের আক্রমণ থেকে হেফাযত করার জন্য এবং তাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য নিযুক্ত করা হয়, তাহলে সে নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে। তাতে কোনো ত্রুটি করেনা।
وَإِنْ كَانَ فِي السَّاقَةِ আর তাকে সেনাবাহিনীর পশ্চাতে রাখা হলেঃ অর্থাৎ সেনাবাহিনীর পিছনের সারিতে রাখা হলে সে সেখানেই দায়িত্ব পালন করতে থাকে। জিহাদের স্বার্থে এবং শত্রুদের হাত থেকে মুজাহিদদেরকে হেফাযত করার জন্যই সে কাজ করতে থাকে।
ইমাম খালখালী (রঃ) বলেনঃ তার স্কন্ধে যেই যিম্মাদ্বারী সোপর্দ করা হয়, সে তাই পূর্ণ করে এবং তাকে যেখানে দাঁড় করানো হয়, সে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। নিজের স্থান ও দায়িত্ব-কর্তব্য থেকে এক কদমও সরেনা। হাদীছে শুধু পাহারা দেয়া এবং পিছনে থাকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হল এই কাজ দু’টি সর্বাধিক কঠিন।
إِنِ اسْتَأْذَنَ لَمْ يُؤْذَنْ لَهُ ‘‘সে অনুমতি প্রার্থনা করলে তাকে অনুমতি দেয়া হয়না’’ঃ অর্থাৎ আমীর-উমারাদের কাছে জিহাদের ময়দান থেকে ছুটি চাইলে তারা তাকে ছুটি দেন না। কেননা যুদ্ধের সেনাপতি ও আমীরদের কাছে তার কোনো মর্যাদা ও প্রভাব নেই। আর তা অর্জন করার জন্য তার অন্তরে নিয়তও নেই। সে কাজের বিনিময়ে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টিই কামনা করে।
وَإِنْ شَفَعَ لَمْ يُشَفَّع ‘‘কোনো বিষয়ে সুপারিশ করলে তার সুপারিশও গ্রহণ করা হয়নাঃ অর্থাৎ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও যদি এমন বিষয়ে সুপারিশ করার প্রয়োজন হয়, যা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের নিকট পছন্দনীয়, তাতেও যুদ্ধের আমীর-উমারাগণের নিকট তার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হয়না।
উছমান বিন আফ্ফান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,
«حَرَسُ لَيْلَةٍ فِى سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ لَيْلَةٍ يُقَامُ لَيْلُهَا وَيُصَامُ نَهَارُهَا»
‘‘আল্লাহর রাস্তায় একরাত পাহারা দেয়া এমন একহাজার রাত অপেক্ষা উত্তম, যার দিনগুলোতে রোযা রাখা হয় এবং রাতগুলোতে কিয়াম করা হয়’’।[4]
হাফেয ইবনে আসাকির আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারকের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ১৭৭ হিজরীতে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী শহর তারসুসে অবস্থান কালে মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীমকে সাত লাইন কবিতা আবৃত্তি করে শুনালেন। তিনি লাইনগুলো লিখে মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীমের মাধ্যমে কাবা শরীফে এবাদতরত ফুযাইল বিন ইয়াযের জন্য পাঠিয়ে দিলেন। কবিতার লাইন সাতটি এইঃ
1) يا عابد الحرمين لو أبصرتنا
لعلمت أنك بالعبادة تلعب+
2) من كان يخضب خدّه بدموعه
فنحورنا بدمائنا تتخضّب
3) أو كان يُتْعِب خيله في باطل
فخيولنا يوم الصبيحة تتعب
4) ريح العبير لكم، ونحن عبيرنا
رهج السنابك والغبار الأطيب
5) ولقد أتانا من مقال نبينا
قول صحيح صادق لا يكذب
6) لا يستوي غبار خيل الله في
أنف امرئ ودخان نار تلهب
7) هذا كتاب الله ينطق بيننا
ليس الشهيد بميت لايكذب
১) ওহে মক্কা-মদীনায় এবাদতকারী! তুমি যদি আমাদেরকে দেখতে, তাহলে অবশ্যই জানতে যে, তুমি এবাদত নিয়ে খেলতামাশায় লিপ্ত।
২) কোনো ব্যক্তি যখন আল্লাহর ভয়ে কেঁদে চোখের পানিতে গাল ভিজিয়ে ফেলে আমরা তখন রক্তের মাধ্যমে স্বীয় বক্ষসমূহকে রঙ্গিন করি।
৩) কেউ যখন বাতিলের পথে দৌড়িয়ে স্বীয় ঘোড়াকে ক্লান্ত করে, তখন আমাদের ঘোড়াসমূহ কেবল যুদ্ধের সময়ই ক্লান্ত হয়।
৪) তোমাদের জন্য সুবাস আসে মিস্ক-আম্বরের সৌরভ হতে। আর আমাদের জন্য সুবাস আসে রক্তমাখা ঘোড়ার খুর ও পবিত্র ধূলিবালি হতে।
৫) আমাদের কাছে আমাদের নবীর বাণীসমূহ থেকে এমন কথা পৌঁছেছে, যা সত্য সঠিক, তাতে মিথ্যার লেশমাত্র নেই।
৬) আল্লাহর রাস্তায় ঘোড়ার খুরের ধূলি এবং জাহান্নামের আগুনের ধোঁয়া কখনই মুজাহিদের নাকে একত্রিত হবেনা।
৭) আল্লাহর কিতাব আমাদেরকে বলছে, আল্লাহর রাস্তায় কোনো শহীদই মৃত নয়। তাঁর কিতাবের কোনো কথাই মিথ্যা নয়।
মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম বলেনঃ আমি চিঠিসহ মাসজিদুল হারামে পৌঁছে ফুযাইল বিন ইয়াযের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। পত্রটি পড়েই ফুযাইল বিন ইয়ায কাঁদতে লাগলেন এবং তাঁর চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হল। অতঃপর তিনি বললেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক সত্য বলেছেন এবং আমাকে নসীহত করেছেন। অতঃপর তিনি মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীমকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি কি হাদীছ লিখো? মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম বলেনঃ আমি বললামঃ হ্যাঁ। এরপর ফুযাইল বললেনঃ এই হাদীছটি লিখে নাও। এই বলে ফুযাইল আমাকে লিখালেনঃ আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
«أن رجلاً قال: يا رسول الله، علمني عملاً أنال به ثواب المجاهدين في سبيل الله فقال: هل تستطيع أن تصلي فلا تفتر وتصوم فلا تفطر؟ فقال: يا رسول الله أنا أضعف من أن أستطيع ذلك ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم: فوالذي نفسي بيده لو طوقت ذلك ما بلغت فضل المجاهدين في سبيل الله أو ما علمت أن فرس المجاهد ليستن في طوله فيكتب له بذلك حسنات»
‘‘এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেনঃ আমাকে এমন কতিপয় আমল শিখিয়ে দিন, যদ্বারা আমি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের ছাওয়াব অর্জন করতে পারবো। তিনি তখন বললেনঃ তুমি কি এমন করতে পারবে যে, সর্বদা নামায পড়তেই থাকবে এবং কোন প্রকার ক্লান্তিবোধ করবেনা? প্রতিদিন রোযা রাখতেই থাকবে এবং কখনই রোযা ছাড়বেনা? লোকটি তখন বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি দুর্বল। আমি এর ক্ষমতা রাখিনা। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, তুমি যদি এমন করতে পারলেও আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের ফযীলত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেনা। তোমার কি জানা আছে যে, মুজাহিদের ঘোড়া রশিতে বাঁধা অবস্থায় যতবার নড়াচড়া করে, ততবারের বিনিময়ে মুজাহিদের জন্য ছাওয়াব লিখা হয়’’।[5] এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১) মানুষ আখেরাতের আমল দ্বারা দুনিয়া হাসিলের নিয়তও করে।
২) সূরা হুদের ১৫ ও ১৬ নং আয়াতের তাফসীর জানা গেল।
৩) কোনো মুসলিমকে দিনার-দিরহাম ও পোষাকের গোলাম হিসেবে আখ্যায়িত করা।
৪) উপরোক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যা হচ্ছে, সেই মুসলিমকে দেয়া হলেই খুশী হয়, দেয়া না হলেই অসন্তুষ্ট হয়।
৫) দুনিয়াদারকে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বলে বদ দুআ করেছেন, সে ধ্বংস হোক, সে হতভাগ্য হোক, সে উল্টে পড়ুক এবং অপমানিত-অপদস্ত হোক।
৬) দুনিয়াদারকে এ বলেও বদদোয়া করেছেন, তার গায়ে কাঁটা বিদ্ধ হোক এবং সে তা খুলতে না পারুক’’।
৭) হাদীছে বর্ণিত গুণাবলীতে গুণান্বিত মুজাহিদের প্রশংসা করা হয়েছে। সে সৌভাগ্যের অধিকারী বলে জানানো হয়েছে।
[5] - দেখুনঃ তারিখে দিমাস্ক, (৪/৩৮৫), কুররাতুল উয়ুন, পৃষ্ঠা নং- ৩১৩। আর মারফু হাদীছটি শব্দের সামান্য ব্যবধানসহ সহীহ বুখারীতে রয়েছে। অধ্যায়ঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ফযীলত।