লগইন করুন
উত্তরঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর সাধ্যানুযায়ী সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের দায়িত্ব পালন করা ওয়াজিব। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
)وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ)
‘‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা আবশ্যক, যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে, মানুষকে সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে। আর তারাই হবে সফলকাম’’। (সূরা আল-ইমরান ১০৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
( مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ)
‘‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখবে, সে যেন হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। হাত দ্বারা প্রতিহত করতে না পারলে, জবান দিয়ে প্রতিবাদ করবে। তাও করতে না পারলে অন্তর দিয়ে সে অন্যায় কাজকে মন্দ মনে করবে। তবে এটি হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়’’।[1]
এ বিষয়ে অসংখ্য কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীছ এসেছে। এগুলোর প্রতিটিই প্রমাণ করে যে, যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখবে, তার উপর সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা ওয়াজিব। সে এই ওয়াজিব পালন থেকে রেহাই পাবে না, যতক্ষণ না অন্য কেউ এ দায়িত্ব পালন করবে। প্রত্যেকেই সামর্থ অনুযায়ী এ দায়িত্বে আঞ্জাম দিবে। যে বান্দা যত অধিক সামর্থ রাখবে, তার উপর তত অধিক সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের দায়িত্ব পালন করা ওয়াজিব। পাপী ও গুনাহগারদের উপর আল্লাহর আযাব নাযিল হলে পাপ কাজে বাধা দানকারীগণই কেবল আযাব থেকে পরিত্রাণ পাবে। অন্যথায় সকলেই আযাবে গ্রেফতার হবে।