লগইন করুন
উত্তরঃ তা হয়ে থাকে সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করেও তার প্রতি মস্তকাবনত না করার মাধ্যমে। যেমন কুফরী করেছিল ইবলীস। আল্লাহ্ তার সম্পর্কে বলেনঃ
إلاَّ إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
‘‘কিন্তু ইবলীস নিদর্শন পালন করতে অস্বীকার করল এবং কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। (সূরা বাকারাঃ ৩৪) আল্লাহর আদেশকে অমান্য করে সিজদা থেকে বিরত থাকা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু তার আপত্তি ছিল সিজদা করার আদেশের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইনসাফ ও হিকমতের মধ্যে। এ জন্যেই সে বলেছিলঃ
أَأَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ طِينًا
‘‘আমি কি তাকে সিজদা করব, যাকে আপনি কাঁদা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন?’’ (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৬১) সে আরো বলেছিলঃ
لَمْ أَكُنْ لأَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهُ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ
‘‘আমি এমন একজন মানুষকে সিজ্দা করব না, যাকে পঁচা কর্দম থেকে তৈরী শুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। (সূরা হিজরঃ ৩৩) সে আরো বলেছিলঃ
أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ
‘‘আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা’’। (সূরা আ’রাফঃ ১২)