লগইন করুন
উত্তরঃ ঈমান হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আমলের নাম। অর্থাৎ অন্তর ও জবানের স্বীকারোক্তি এবং অন্তর, জবান ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলকে ঈমান বলা হয়। অন্তরের স্বীকারোক্তি হচ্ছে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস, জবানের কথা হচ্ছে কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করা, অন্তরের কাজ হচ্ছে একনিষ্ঠতা এবং নিয়ত। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ হচ্ছে সকল প্রকার ভাল আমলের মাধ্যমে অনুগত হওয়া।
উপরের চারটি বস্ত্ত যথাঃ (১) অন্তরের বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি (২) অন্তরের আমল (৩) জবানের স্বীকারোক্তি এবং (৪) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল যদি চলে যায় তবে সম্পূর্ণরূপে ঈমান চলে যাবে। অন্তরে ঈমান না থাকলে বাকী তিনটি বস্ত্ত কোন কাজেই আসবে না। কেননা অন্তরের বিশ্বাস হচ্ছে অবশিষ্ট তিনটি বিষয়ের দ্বারা উপকৃত হওয়ার পূর্বশর্ত। এর উদাহরণ হল যেমন কেউ আল্লাহর কোন নাম বা সিফাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল বা রাসূলগণের মাধ্যমে আল্লাহ্ যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন কিংবা আসমানী কিতাবে অবতরণকৃত কোন বিষয়কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল।
আর কারো যদি অন্তরের কাজ চলে যায়, কিন্তু সত্যায়ন বাকী থাকে তাহলেও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে তার ঈমান সম্পূর্ণরূপে চলে যাবে। কারণ অন্তরের কাজ ব্যতীত শুধু অন্তরের বিশ্বাসের মাধ্যমে কোন উপকার হবে না। অন্তরের আমল বলতে ভালবাসা ও আনুগত্যকে বুঝানো হয়েছে। যেমন ইবলীস, ফেরাউন ও তার জাতি, ইয়াহুদ ও মুশরিকদের স্বীকারোক্তি কোন উপকারে আসে নি। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামকে সত্য বলে বিশ্বাস করত। শুধু তাই নয়, তারা প্রকাশ্যে ও গোপনে স্বীকারও করত এবং বলত, সে মিথ্যুক নয়। কিন্তু আমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব না এবং তার আনুগত্যও করব না। আনুগত্যের মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং পাপ কাজের মাধ্যমে তা কমে যায়। ঈমানের মধ্যে মু’মিনগণ পরস্পর সমান নয়; বরং তাদের একজন অপরজনের চেয়ে বেশী মর্যাদার অধিকারী।