লগইন করুন
উত্তরঃ দৈনন্দিন তাকদীর নির্ধারণের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
‘‘তিনি প্রতিদিন কোন কোন মহান কার্যে রত আছেন’’। (সূরা আর্-রাহমান। ২৯) মুস্তাদরাক হাকেমে বর্ণিত আছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে হতে অন্যতম একটি সৃষ্টি হচ্ছে লাওহে মাহ্ফুয। সাদা মুক্তা দিয়ে আল্লাহ্ এটিকে তৈরী করেছেন। তার উভয় পার্শ্ব তৈরী করা হয়েছে লাল রঙ্গের হিরা দিয়ে। কলমটি হচ্ছে নূরের তৈরী, কালিও নূরের। আল্লাহ্ তাআলা তাতে দৈনিক তিনশত ৬০ বার দৃষ্টি দেন। প্রত্যেকবার দৃষ্টি দেয়ার সময় তিনি কোন না কোন বস্ত্ত সৃষ্টি করেন, কারো জীবিকার ব্যবস্থা করেন, কাউকে জীবিত রাখেন, কাউকে মৃত্যু দেন, কাউকে সম্মানিত করেন, কাউকে অপমানিত করেন এবং তিনি যা চান তাই করেন। এটিই হচ্ছে আল্লাহর বাণীর অর্থঃ
كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
‘‘তিনি প্রতিদিন কোন না কোন মহান কার্যে রত আছেন’’। (সূরা আর্-রাহমান। ২৯)
উল্লেখিত এসমস্ত তাকদীর পূর্বোল্লেখিত বিস্তারিত তাকদীরের মতই। সেটি হচ্ছে তাকদীরে আযালী বা চিরস্থায়ী তাকদীর, যা কলম সৃষ্টি করার পর আল্লাহ্ তাআলা কলমকে লাওহে মাহ্ফুযে লিখার আদেশ দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমেই আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস ও ইবনে উমার (রাঃ) আল্লাহর নিম্নবাণীর ব্যাখ্যা করেছেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
إِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
‘‘তোমরা যা করতে তা আমি লিপিবদ্ধ করেছিলাম’’। (সূরা জাসিয়াঃ ২৯) আর এ সবকিছুই আল্লাহর ইল্ম থেকে, যা মহান আল্লাহর সিফাতের অন্তর্ভূক্ত।