লগইন করুন
উত্তর: হাজী সাহেব যদি ইফরাদ বা ক্বিরানকারী হয়, তবে তার জন্য তাওয়াফে ইফাদ্বার পূর্বে হজের সা‘ঈ করা জায়েয আছে। তাওয়াফে কুদুমের পর পরই তা আদায় করে নিবে। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীদের মধ্যে যারা হাদঈ সাথে নিয়ে এসেছিলেন তারা করেছিলেন।
কিন্তু তামাত্তু‘কারী হলে তাকে দু’বার সা‘ঈ করতে হবে। প্রথমবার মক্কায় আগমন করে উমরার জন্য। প্রথমে তাওয়াফ করবে, তারপর সা‘ঈ করে চুল খাট করে হালাল হয়ে যাবে। আর দ্বিতীয়বার সা‘ঈ করবে (‘আরাফাত দিবসের পর) হজের জন্য। উত্তম হচ্ছে তাওয়াফে ইফাদ্বা আদায় করার পর এ সা‘ঈ করা। কেননা সা‘ঈ তাওয়াফের পরের কাজ। অবশ্য যদি সেদিন তাওয়াফের পূর্বে কেউ সা‘ঈ করে ফেলে তবে বিশুদ্ধ মতে কোনো অসুবিধা হবে না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেদিন (১০ তারিখ) জিজ্ঞেস করা হয়েছে: আমি তো তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করে ফেলেছি। জবাবে তিনি বলেছেন, “কোনো অসুবিধা নেই।”[1]
হাজী সাহেব ঈদের দিন তথা দশই যিলহজ পাঁচটি কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করবে:
১) জামরা আক্বাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা
২) তারপর হাদঈ যবাই করা
৩) তারপর মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করা
৪) অতঃপর কা‘বা ঘরের তাওয়াফ করা
৫) সবশেষে ছাফা-মারওয়া সা‘ঈ করা। অবশ্য ইফরাদকারী ও ক্বেরাণকারী যদি তাওয়াফে কুদূমের সাথে সা‘ঈ করে নিয়ে থাকে, তবে পুনরায় তাকে সা‘ঈ করতে হবে না। উত্তম হচ্ছে উল্লিখিত কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করা। কিন্তু যদি আগ-পিছ হয়ে যায় বা করে ফেলে- বিশেষ করে প্রয়োজন দেখা দিলে তবে কোনো অসুবিধা নেই। এটা বান্দাদের প্রতি আল্লাহর করুণার একটি বড় প্রমাণ।[2]
[2] দেখা যায় আমাদের দেশ থেকে অনেক হাজী তামাত্তু‘ হজ করতে এসে ৮ই জিলহজে হজের ইহরাম বেঁধে বা নফল তাওয়াফ করে মীনা যাওয়ার পূর্বেই অগ্রীম সাফা-মারওয়া সা‘ঈ করে নেয়। কিন্তু এটা বিশুদ্ধ নয়। এতে তাদের হজ হবে না। কেননা তারা সময়ের আগেই সে কর্মটি সম্পন্ন করেছে। - অনুবাদক ও সম্পাদক।