লগইন করুন
উত্তরঃ প্রচলিত সাধারণ বিষয়ের পরিপন্থী এমন অলৌকিক বিষয়ের নাম মু’জিযা, যাতে চ্যালেঞ্জ করা উদ্দেশ্য হয় এবং যেই চ্যালেঞ্জের মুকাবেলা করতে মানব জাতি সম্পূর্ণ অক্ষম।
মু’জিযা কখনও প্রকাশ্য হয়, যা চোখ দিয়ে দেখা যায় অথবা কান দিয়ে শুনা যায়। যেমন পাথরের ভিতর থেকে উটনী বের হয়ে আসা, লাঠি সাপে পরিণত হওয়া এবং জড়পদার্থের কথা বলা ইত্যাদি।
আবার কখনও তা অপ্রকাশ্য হয়ে থাকে, যা বিবেক-বুদ্ধি ও অন্তর দৃষ্টির মাধ্যমে অনুভব করা যায়। যেমন কুরআনের মু’জিযা।
আমাদের নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উভয় প্রকার মু’জিযা প্রদান করা হয়েছে। যে মু’জিযা অন্য নবীদের দেয়া হয়েছে, ঐ ধরণের আরো বড় মু’জিযা আমাদের নবীকে প্রদান করা হয়েছে। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর প্রকাশ্য মু’জিযাসমূহের মধ্যে অন্যতম মু’জিযা হচ্ছেঃ চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করা, মৃত খেজুর গাছের কাঠের ক্রন্দন, তাঁর পবিত্র আঙ্গুলের মধ্যে হতে পানি বের হওয়া, বিষ মিশ্রিত মাংসের কথা বলা, খাদ্যের তাসবীহ পাঠ ইত্যাদি। মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত এমনি আরো অনেক মু’জিযা রয়েছে; কিন্তু তা অন্যান্য নবীদের মু’জিযার মতই তাদের যুগ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নিঃশেষ হয়ে গেছে। তবে সেগুলোর আলোচনা অবশিষ্ট রয়ে গেছে।
আর আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যে মু’জিযাটি কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে, সেটি হচ্ছে কুরআন মজীদ, যার বিস্মিয়কর বিষয়গুলো শেষ হবে না এবং কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না, অগ্র হতেও নয়, পশ্চাৎ হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান ও প্রশংসনীয় আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ’’।