লগইন করুন
উত্তরঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর পবিত্র জবানীতেও আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণীঃ
(لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَلِيمُ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ)
‘‘আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই। যিনি عليم (মহাজ্ঞাণী), حَليْم (সহিষ্ণু)। আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই। যিনি আরশে আযীমের মালিক। আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই। আসমানসমূহ ও যমীনের মালিক এবং যিনি মর্যাদাবান আরশের মালিক’’।[1] রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )এর বাণীঃ
(يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ)
‘‘ইয়া হাইয়্যু! (চিরঞ্জিব) ইয়া কাইয়্যুমু! (রক্ষক), ইয়া যাল যালালি ওয়াল ইকরাম! (মহা সম্মানের অধিকারী) ইয়া বাদীউস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরযি! (আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণীঃ
(بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ)
‘‘আমি শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে পৃথিবী ও আকাশের কোন জিনিষ ক্ষতি সাধন করতে পারে না, এবং তিনিই سَمِيع (সর্বশ্রোতা) ও عَلِيم (সর্বজ্ঞ)’’।[2] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণীঃ
(اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ )
‘‘হে আল্লাহ! অদৃশ্য ও দৃশ্য জগৎ সম্পর্কে অবগত, আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, সব কিছুর প্রতিপালক (رب) ও মালিক (مَالِك)’’।[3] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’আয় বলতেনঃ
(اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ)
‘‘হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী, পৃথিবী, আরশে আযীমের رَبّ (অধিপতি)। হে আমাদের ও সকল বস্ত্তর প্রতিপালক! হে فَالِقُ الحَبِّ والنَّوَى (দানা ও বীজ উৎপাদনকারী) তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন অবতীর্ণকারী। আমি তোমার নিকট প্রত্যেক অনিষ্টকারীর অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যার ললাটের কেশগুচ্ছ তুমি ধারণ করে আছ।
হে আল্লাহ! আপনিই أَوَّل (প্রথম)। আপনার পূর্বে কেউ ছিল না। আপনিই أَخِر (সর্বশেষ), আপনার পর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আপনিই ظَاهِر (প্রকাশমান), আপনার উপরে আর কেউ নেই। আপনিই بَاطِن (অপ্রকাশমান), কোন কিছুই আপনার জ্ঞান থেকে অপ্রকাশ্য নয়’’।[4] অর্থাৎ অপ্রকাশ্য সকল বস্ত্ত সম্পর্কে আপনি পূর্ণ অবগত আছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ)
‘‘হে আল্লাহ! আপনার জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মাঝের সব কিছুর نُوْر (নূর)। আপনার জন্যে সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মাঝের সব কিছুর قَيُّوم (রক্ষক)’’।[5] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দু’আঃ
(اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ)
‘‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ কথার সাক্ষ্যের উসীলা দিয়ে প্রার্থনা করছি যে, আপনিই আল্লাহ। আপনি ছাড়া সত্য কোন মা’বুদ নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জম্ম দেন নি এবং কেউ যাকে জন্ম দেয়নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই’’।[6]
(يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ)
‘‘ইয়া مُقَلِّب الْقُلُوْب (হে অন্তর পরিবর্তনকারী)! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন’’।[7]
[2] - আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আদাব, ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ কিতাবুদ্ দুআ। হাকেম সহীহ বলেছেন, (১/৫১৪)।
[3] - তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুদ্ দাওয়াত। তিনি বলেনঃ হাদীছটি হাসান সহীহ, ইমাম হাকেম তার মুসতাদরাকে বর্ণনা করে সহীহ বলেছেন, (১/৫৩) ইমাম যাহাবীও তাতে একমত পোষণ করেছেন।
[4] - সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যিক্র ওয়াদ্ দু’আ।
[5] - তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুদ্ দাওয়াত। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান সহীহ।
[6] - তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুদ্ দাওয়াত। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান গরীব। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ সহীহুত্ তারগীব ওয়াত্ তারগীব, হাদীছ নং- ১৬৪০
[7] - তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুদ্ দাওয়াত। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান।