লগইন করুন
উত্তর: বিষয়টি যদি এরূপই হয় যেমন প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজের তাওয়াফ না করেই নারী ঋতুবতী হয়ে গেছে। পবিত্র হয়ে তাওয়াফ করার জন্য মক্কায় থেকে যাওয়াটাও তার জন্য দুঃসাধ্য অথবা চলে গেলে আবার মক্কা ফেরত আসাটাও অসম্ভব, তবে এ অবস্থায় নিম্ন লিখিত দু’টি সমাধানের যে কোনো একটি সে গ্রহণ করতে পারে:
১। ঋতু বন্ধ করার জন্য ট্যাবলেট বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করবে- যদি তাতে ক্ষতির আশংকা না থাকে- তারপর তাওয়াফ করবে।
২। লজ্জাস্থানে প্যাড বা কাপড় বেঁধে দিবে যাতে করে মসজিদে রক্ত না পড়ে। তারপর তাওয়াফ করবে। এটাই বিশুদ্ধ মত, যা শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তায়মিয়া রহ. পছন্দ করেছেন।
এর বিপরীত সমাধান হচ্ছে, নিম্নলিখিত দু’টির যে কোনো একটি:
১। ইহরামের অবশিষ্ট যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা থেকে বিরত থেকে ইহরাম অবস্থাতেই থাকবে। অর্থাৎ স্বামী সহবাসে লিপ্ত হবে না। অবিবাহিতা হলে কোনো বিবাহের আকদ করবে না। তারপর পবিত্র হলে তাওয়াফ করবে।
২। অথবা নিজেকে হজের কর্মসমূহ সম্পন্ন করতে বাধাপ্রাপ্ত মনে করবে এবং হালাল হওয়া যাবে এবং ফিদইয়াস্বরূপ একটি কুরবানী করবে। কিন্তু এ অবস্থায় তার এ হজটি হজ হিসেবে গণ্য হবে না।
সন্দেহ নেই যে, উল্লিখিত এ দু’টি বিষয়ের উভয়টিই কঠিন। কারণ, ইহরাম অবস্থায় থেকে যাওয়াটা যেমন কঠিন ব্যাপার, তেমনি হজ বাতিল করে দেওয়াটা আরো কঠিন। এ কারণে জরুরী অবস্থা হিসেবে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তায়মিয়া রহ.-এর মতটিই এখানে সঠিক। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖ﴾ [الحج: ٧٨]
“আল্লাহ তোমাদের জন্য দীনের মাঝে কোনো অসুবিধা রাখেন নি।” [সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ৭৮]
তিনি আরো বলেন,
﴿يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ﴾ [البقرة: ١٨٥]
“আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজতা চান, তোমাদের জন্য কঠিন কিছু তিনি চান না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৫]
কিন্তু এ নারীর জন্যে যদি সম্ভব হয় চলে গিয়ে পবিত্র হলে আবার ফেরত এসে হজের তাওয়াফ করা, তবে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এ সময়ের মধ্যে স্বামী সহবাস জায়েয হবে না। কেননা তাওয়াফ না করলে হাজী সাহেব দ্বিতীয় হালাল বা পূর্ণ হালাল হয় না।