কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে নিষিদ্ধ কর্মকান্ড কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ কর্মসমূহ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী
২৯০. নামাযে কুকুরের ন্যায় বসা, হিংস্র পশুর ন্যায় সাজ্দাহ্, কাকের ন্যায় ঠোকর, শিয়ালের ন্যায় এদিক ওদিক তাকানো কিংবা উটের ন্যায় মসজিদের নির্দিষ্ট কোন স্থানে সর্বদা স্বালাত্ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলা

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثٍ وَنَهَانِي عَنْ ثَلَاثٍ، أَمَرَنِي بِرَكْعَتَيْ الضُّـحَى كُلَّ يَوْمٍ، وَالْوِتْرِ قَبْلَ النَّوْمِ، وَصِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَنَهَانِي عَنْ نَقْرَةٍ كَنَقْرَةِ الدِّيكِ، وَإِقْعَاءٍ كَإِقْعَاءِ الْكَلْبِ، وَالْتِفَاتٍ كَالْتِفَاتِ الثَّعْلَبِ

‘‘রাসূল (সা.) আমাকে তিনটি কাজের আদেশ করেন এবং তিনটি কাজ থেকে নিষেধ করেন। তিনি আমাকে প্রতি দিন যুহা তথা সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ার সময়কার দু’ রাক্’আত নামায, ঘুমের আগে বিতরের নামায এবং প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখতে আদেশ করেন। তেমনিভাবে তিনি আমাকে মোরগের মতো ঠোকর দিতে, কুকুরের মতো তথা উভয় হাঁটু খাড়া করে দু’ হাত ও দু’ পাছা জমিনে বিছিয়ে বসতে এবং শিয়ালের মতো এদিক-ওদিক তাকাতে নিষেধ করেন’’।[1]

আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

اعْتَدِلُوْا فِيْ السُّجُوْدِ ، وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ

‘‘তোমরা সেজ্দাহ্ করার সময় শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে রাখো। তোমাদের কেউ যেন নিজের উভয় কনুই কুকুরের ন্যায় জমিনে বিছিয়ে না দেয়’’।[2]

বারা’ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا سَجَدْتَ فَضَعْ كَفَّيْكَ وَارْفَعْ مِرْفَقَيْكَ

‘‘যখন তুমি সেজ্দাহ্ করবে তখন তোমার উভয় হাতের তালু জমিনে রাখবে এবং তোমার কনুইদ্বয় জমিন থেকে উঁচিয়ে রাখবে’’।[3]

আব্দুর রহমান বিন্ শিব্ল (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَقْرَةِ الْغُرَابِ وَافْتِرَاشِ السَّبُعِ وَأَنْ يُّوَطِّنَ الرَّجُلُ الْـمَكَانَ فِيْ الْمَسْجِدِ كَمَا يُوَطِّنُ الْبَعِيْرُ

‘‘রাসূল (সা.) কাকের ঠোকর কিংবা হিংস্র পশুর ন্যায় দু’ কনুই জমিনে বিছিয়ে সিজ্দাহ্ করা অথবা উটের ন্যায় মসজিদের নির্দিষ্ট কোন স্থানে সর্বদা নামায পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে নিষেধ করেছেন’’।[4]

>
[1] (আহমাদ্, হাদীস ৭৭৫৮, ৮১০৬)

[2] (মুসলিম, হাদীস ৪৯৩)

[3] (মুসলিম, হাদীস ৪৯৪)

[4] (আবু দাউদ, হাদীস ৮৬২)