লগইন করুন
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنفِقُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ الْأَرْضِ ۖ وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِآخِذِيهِ إِلَّا أَن تُغْمِضُوا فِيهِ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন করেছো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি তা থেকে শুধু পবিত্র ও উন্নত বস্ত্তই আল্লাহ্ তা’আলার পথে সাদাকা করো। কোন অপবিত্র বা অনুন্নত বস্ত্ত তাঁর পথে সাদাকা করো না যা তোমরা নিজেও গ্রহণ করবে না চোখ বন্ধ করা ছাড়া। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা (এ জাতীয় সাদাকা থেকে) অমুখাপেক্ষী এবং সুপ্রশংসিত’’। (বাক্বারাহ্ : ২৬৭)
বারা’ বিন্ ’আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: উক্ত আয়াত আন্সারীদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। তাঁরা খেজুর কাটার সময় হলে কাঁচা-পাকা খেজুরের থোকা সমূহ মসজিদে নববীর দু’ পিলারের মাঝখানে রশি টাঙ্গিয়ে তাতে ঝুলিয়ে রাখতেন। এতে করে গরিব মুহাজিরগণ তা থেকে কিছু খেজুর আহার করে খাদ্যের কাজ সেরে নিতেন। একদা জনৈক আন্সারী সাহাবী নিম্ন মানের একটি খেজুর থোকা সে রশিতে টাঙ্গিয়ে রাখলেন। তখনই উক্ত আয়াত নাযিল হয়।[1]
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) মৃত্যুর পূর্বে যাকাত সংক্রান্ত লিখিত যে বিধান রেখে গেলেন তার মধ্যে এ কথাগুলোও ছিলো যে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
وَلاَ يُؤْخَذُ فِيْ الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ ، وَلاَ ذَاتُ عَيْبٍ
‘‘সাদাকা তথা যাকাত হিসেবে কোন শীর্ণকায় পশু গ্রহণ করা যাবে না। না কোন ত্রুটিময় পশু’’।[2]
>[2] (আবু দাউদ, হাদীস ১৫৬৮)