লগইন করুন
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يُقِيْمُ الرَّجُلُ الرَّجُلَ مِنْ مَقْعَدِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيْهِ ، وَلَكِنْ تَفَسَّحُوْا وَتَوَسَّعُوْا
‘‘কেউ যেন অন্যকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে নিজে না বসে। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবেঃ আপনারা একটু নড়েচড়ে বসুন, আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন’’।[1]
বিশেষ করে জুমার দিনে উক্ত কাজটি আরো নিন্দনীয়।
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يُقِيْمَنَّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ ، ثُمَّ لْيُخَالِفْ إِلَى مَقْعَدِهِ فَيَقْعُدَ فِيْهِ ، وَلَكِنْ يَقُوْلُ: افْسَحُوْا
‘‘তোমাদের কেউ তার কোন মুসলিম ভাইকে জুমু’আর দিন নিজ জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সে জায়গায় নিজে বসবে না। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবে: আপনারা আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন’’।[2]
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর অভ্যাস ছিলো যে, তিনি কেউ তাঁর সম্মানার্থে নিজ জায়গা ছেড়ে উঠে গিয়ে তাঁর জন্য জায়গা করে দিলে তিনি সেখানে বসতেন না।
বরং এটি কোন ইসলামী সংস্কৃতিও নয় যে, কেউ অন্যের সম্মানার্থে তাকে কোন মজলিসে বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য সে নিজ জায়গা ছেড়ে উঠে যাবে।
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يَقُوْمُ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ مِنْ مَجْلِسِهِ ، وَلَكِنِ افْسَحُوْا ؛ يَفْسَحِ اللهُ لَكُمْ
‘‘কেউ যেন অন্যের সম্মানার্থে তাকে বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য নিজ জায়গা ছেড়ে না দাঁড়ায়। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবেঃ আপনারা আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন। আল্লাহ্ তা’আলা আপনাদেরকে জান্নাতে জায়গা করে দিবেন’’।[3]
>[2] (মুসলিম, হাদীস ২১৭৮)
[3] (আহ্মাদ্ ২/৪৮৩)