লগইন করুন
জওয়াব: হায়েয ও নিফাছ অবস্থায় মেয়েদের জন্য ওয়াজিব হলো সাওম বর্জন করা। এ অবস্থায় সালাত ও সাওম কোনোটাই আদায় করা জায়েয হবে না। সুস্থতার পর তাদের সাওম কাযাযা আদায় করতে হবে। সালাতের কাযা আদায় করতে হবে না। হাদীসে এসেছে, ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো,
«هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة». متفق عليه.
“হায়েয থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাযা আদায় করবে? তিনি বললেন, এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাযা আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সালাতের নয়।” (বুখারী ও মুসলিম)।
সাওম কাযা করা আর সালাত কাযা না করা সম্পর্কে ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যা বলেছেন সকল ওলামায়ে কেরাম তার সাথে একমত পোষণ করেছেন অর্থাৎ ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিধানে আল্লাহর এক অনুগ্রহের প্রকাশ ঘটেছে। সাওম বছরের একবার আসে বলে তা কাযা করা কষ্টকর হয় না। কিন্তু সালাত কাযা করার হুকুম হলে তা কষ্টকর হয়ে যেত।
যদি শর‘ঈ ওযর (সংগত কারণ) ব্যতীত কেউ এক রমযানের সিয়ামের কাযা অন্য আরেক রমযানের পর পর্যন্ত বিলম্বিত করে তাহলে সে এ কাজের জন্য তাওবা করবে। কাযা আদায় করবে এবং প্রত্যেকটি সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে। এমনিভাবে অসুস্থ ব্যক্তি ও মুসাফির যার ওপর সিয়ামের কাযা আদায় করা সহ কাফফারা দিতে হবে অর্থাৎ প্রতিটি সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করতে হবে এবং তওবা করবে।