লগইন করুন
আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كُنَّا نُطْعِمُ الصَّدَقَةَ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ»
“আমরা এক সা‘ পরিমাণ যব দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।”[1]
আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
«كُنَّا نُخْرِجُ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ، عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ، وَكَبِيرٍ، حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ، صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ» فَلَمْ نَزَلْ نُخْرِجُهُ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ حَاجًّا، أَوْ مُعْتَمِرًا فَكَلَّمَ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَكَانَ فِيمَا كَلَّمَ بِهِ النَّاسَ أَنْ قَالَ: «إِنِّي أَرَى أَنَّ مُدَّيْنِ مِنْ سَمْرَاءِ الشَّامِ، تَعْدِلُ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ» فَأَخَذَ النَّاسُ بِذَلِكَ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «فَأَمَّا أَنَا فَلَا أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَمَا كُنْتُ أُخْرِجُهُ، أَبَدًا مَا عِشْتُ»
“আমরা সদকাতুল ফিতর বাবদ এক সা‘ খাদ্য গম অথবা এক সা‘ যব অথবা এক সা‘ খেজুর অথবা এক সা‘ পনির কিংবা এক ‘সা কিসমিস প্রদান করতাম।
‘আব্দুল্লাহ ইবন মাসলামা ইবন কা‘নাব রহ. এর সনদে আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট ও বড় স্বাধীন ও ক্রীতদাস প্রত্যেকের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর বাবদ এক সা‘ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ যব অথবা এক সা‘ খেজুর অথবা এক সা‘ কিশমিশ প্রদান করতাম। এভাবেই আমরা তা আদায় করতে থাকি। পরে মু‘আবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হজ অথবা ‘উমরার উদ্দেশ্যে যখন আমাদের নিকট আসলেন তখন তিনি মিম্বরে আরোহণ করে উপস্থিত লোকদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, আমার মতে সিরিয়ার দু-মুদ গম এক সা‘ খেজুরের সামান। লোকেরা তা গ্রহণ করে নিলেন। আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি তো যত দিন জীবিত থাকব ঐ ভাবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করব, যে ভাবে আমি সদকাতুল ফিতর আদায় করে আসছিলাম।[2]
ইসমাঈল ইবন উমাইয়্যাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে ইয়ায ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সা‘দ ইবন আবু সারহ সংবাদ দিয়েছেন, তিনি আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনেছেন যে,
«كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا، عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ، حُرٍّ وَمَمْلُوكٍ، مِنْ ثَلَاثَةِ أَصْنَافٍ: صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ " فَلَمْ نَزَلْ نُخْرِجُهُ كَذَلِكَ، حَتَّى كَانَ مُعَاوِيَةُ: «فَرَأَى أَنَّ مُدَّيْنِ مِنْ بُرٍّ تَعْدِلُ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «فَأَمَّا أَنَا فَلَا أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَذَلِكَ»
“রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট ও বড়, স্বাধীন ও ক্রীতদাস প্রত্যেকের পক্ষ থেকে তিন প্রকার বস্তু থেকে সদকাতুল ফিতর বাবদ এক সা‘ খেজুর, এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ যব প্রদান করতাম। এভাবে আমরা সদকাতুল ফিতর আদায় করছিলাম। অতঃপর মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সময় আসলো। তখন তিনি দু মুদ এক সা‘ খেজুরের সমান ধার্য করেন। আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি তো সর্বদা পূর্বের ন্যায়ই আদায় করতে থাকব।”[3]
আবু সা‘ঈদ খুদুরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ ثَلَاثَةِ أَصْنَافٍ: الْأَقِطِ، وَالتَّمْرِ، وَالشَّعِيرِ»
“আমরা পনির, খেজুর ও যব -এ তিন প্রকার বস্তু থেকে সদকাতুর ফিতর আদায় করতাম।”[4]
আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,
«أَنَّ مُعَاوِيَةَ، لَمَّا جَعَلَ نِصْفَ الصَّاعِ مِنَ الْحِنْطَةِ، عَدْلَ صَاعٍ مِنْ تَمْرٍ، أَنْكَرَ ذَلِكَ أَبُو سَعِيدٍ، وَقَالَ: لَا أُخْرِجُ فِيهَا إِلَّا الَّذِي كُنْتُ أُخْرِجُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ»
“মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যখন অর্ধ সা‘ গমকে এক সা‘ খেজুরের সমপরিমাণ নির্ধারণ করলেন, তখন আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তা মেনে নিলেন না এবং বললেন, আমি সদকাতুল ফিতর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে যা আদায় করতাম এখনও তাই আদায় করব। এক সা‘ খেজুর অথবা এক সা‘ কিশমিশ অথবা এক সা‘ যব কিংবা এক সা‘ পনির”।[5]
[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৮৫।
[3] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৮৫।
[4] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৮৫।
[5] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৮৫।